যশোরে বিএনপি নেতাকর্মী ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলুসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় আরো একটি মামলা দায়ের হয়েছে।  বৃহস্পতিবার রাতে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মনিরুজ্জামান সাকির এ মামলাটি করেছেন। নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কথিত ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। এর আগে গত ২৭ আগস্ট রাতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় ‘সাজানো’ মামলা করেছিলেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দায়ের করা মামলার অপর আসামিরা হলেন, যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, শহরের চুড়িপট্টির রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, বারান্দী মোল্লাপাড়ার মাসুম কবীর, ঘোপের রেজাউল ইসলাম মোল্লা, ঘোপ জেল রোডের সৈয়দ আলী আশফাক, শংকরপুরের মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক সড়কের এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের সোহেল রানা তোতা, বালিয়াডাঙ্গার নাজমুল হোসেন বাবলু, হামিদপুরের শফিকুল ইসলাম, শেখহাটির রাজ্জাক, মুড়লির রাজু, চাউলিয়া গ্রামের আব্দুস সালাম বিশ্বাস, রামপুর গ্রামের শিমুল হোসেন, গোপালপুরের হাসানুর রহমান সাকিল, রেজাউল ইসলাম রেজা, শ্রীপদ্দি গ্রামের আবু সাইদ, বারীনগর বাজারের বুলবুল, আব্দুস সালাম, দক্ষিণ ললিতাদহ গ্রামের হাফিজুর রহমান, জামতলা-হাটবিলার আফজাল হোসেন, কামাল শেখ, মণিরামপুরের লাউখালী গ্রামের বাবলু, সদরের রূপদিয়ার লাইছ খান, কুয়াদা বাজারের সিরাজ মোল্লা, কুয়াদা সরদারপাড়ার মফিজুর রহমান টিটু, রাজারহাট বাজারের লিটন হোসেন, মুড়লির মারুফ হোসেন, রাজারহাট ধোপাপাড়ার রাজিব হাসান, রামনগরের জহির হাসান, রামনগর দক্ষিণপাড়ার মন্টু সরদার, মোজাহার, রাজারহাটের জাহাঙ্গীর, মনোহরপুর গ্রামের দাউদ ইব্রাহিম, আকরাম হোসেন, রামনগরের ইমামুল, শেখহাটি লিচুতলার বেনজির বিশ্বাস, মথুরাপুরের পারভেজ, ঘাটকুল কচুয়ার আসলাম, গাইদগাছি গ্রামের অহেদ মোড়ল, মশিয়ার রহমান, কাজী রাহী তনি, নরেন্দ্রপুর খন্দকারপাড়ার ফারুকুজ্জামান রাসেল, নরেন্দ্রপুরের জিলহাজ, নরেন্দ্রপুর বেলতলার আব্দুস সামাদ, ঘুরুলিয়ার মজিবর রহমান, বরলামপুরের আব্দুল হালিম, জাহাঙ্গীর আলম, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খান, রূপদিয়া কলাপট্টির মকবুল হোসেন, গোপালপুরের ইমামুল ইসলাম তুহিন, কামরুল, ধোপাপাড়ার আলম, বানিয়ারগাতির শফিয়ার রহমান শফি এবং মানিকদিহির শরীফ।
মামলায় মনিরুজ্জামান সাকির দাবি করেছেন, তিনি নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার। ঘটনার দিন গত ২৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে আসামিরা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ঢুকে দুইটি সোলার, টেলিভিশন, সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ভাঙচুর করেন। এছাড়া তারা এক লাখ টাকা মূল্যের দুইটি ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যান। এ সময় অন্যান্য ইউপি মেম্বার তাদের ঠেকাতে গেলে তারা তাদেরকে মারধর করেন।