আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যশস্যের দাম কমেছে

0

 

সাইফুর রহমান সাইফ ॥ দেশের বাজারে যখন জ্বালানি তেলের দামের ছোঁয়ায় সবকিছুর দাম আকাশমুখি তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তা কমেছে। অনেক পণ্যের দাম ইউক্রেন যুদ্ধের আগের জায়গায় ফিরে গেছে। ওয়াশিংটন পোস্টের অনলাইন সংস্করণ শনিবার এ খবর দিয়েছে।
ডেভিড জে লাইঞ্চের লেখা প্রতিবেদনের শুরুটা করা হয়েছে এভাবে- আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নানা খাদ্য, জ্বালানি ও সারের দাম রাশিয়া যখন ইউক্রেন দখল করে তার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। যুদ্ধের পর পর এসবের দাম বেড়ে গিয়েছিল। বিশেজ্ঞরা যখন উন্নয়নশীল দেশে দুর্ভিক্ষ অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছেন ঠিক তখনই এ সুখবর এল।
খবরে বলা হয়, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে তার মন্দ হাওয়া নিত্যপণ্যের বাজারে বয়ে যায়। তখন আশঙ্কা ছিল কৃষ্ণ সাগরের ভেতর দিয়ে সব ধরনের রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে।
রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্যবাহী কার্গো জাহাজ নভোরোসিসক ডক থেকে ছেড়ে গেছে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের পানে। এবং আগস্টের ১ তারিখে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ইউক্রেনের ওড়েসা বন্দর থেকে খাদ্যশস্য রফতানি শুরু হয়েছে।
এখন গম যুদ্ধ শুরুর আগের চেয়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্রেন্ট ক্রুড ওয়েল যাকে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক বা সর্বোচ্চ হিসেবে ধরা হয় তার দাম এখন প্রতি বেরেল ৯৭ ডলার। মধ্য ফেব্রুয়ারির দাম। যুদ্ধের শুরুতে ইউরিয়া সারের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। এখন তা যুদ্ধের আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
না, খারাপ কিছু ঘটেনি—- এখনও নিরাপত্তা নিয়ে একটি ভুল ধারণা রয়েছে, বলেন সঞ্জিব কিষাণ। তিনি এস২জি ভলেন্টিয়ার্স নামের সিকাগোর একটি বিশেষায়িত খাদ্য ও কৃষিপণ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান।
বিশ্ববাজারে এই যখন অবস্থা তখন দেশের বাজারে চলছে আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতা। নিত্যপণ্যের দাম কে কত বাড়াতে পারে তা নিয়ে। আজ এটা বাড়ছে তো কাল ওটা। বসে নেই সরকারও।এরি ভেতর সরকার বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে। যার ভেতর রয়েছে ভোজ্যতেল ও গ্যাস। ফলে দুর্বিষহ উঠছে জীবনধারণ।