রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশের তল্লাশি,দুর্ব্যবহারের অভিযোগ যশোরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার ‘সাজানো’ মামলা,আটক ২৮

0

 

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারে বিএনপির কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ মিছিলে বাধা ও হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘সাজানো মামলা’ দায়ের করেছেন ফারুক হোসেন নামে স্থানীয় যুবলীগের একজন নেতা। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলুসহ ৫৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনে গত শনিবার গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। একইদিন রাতে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের সাথে পুলিশ দুর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, গত শনিবার রাতে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২৮ জন নেতাকর্মীকে ধরে এনেছে। তাদেরকে সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফারুক হোসেনের সাজানো মামলায় আসামি বানিয়ে রোববার আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের মামলার আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলু, জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমীর ফয়সাল, সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের সোহেল রানা তোতা, হামিদপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, শেখহাটির আব্দুর রাজ্জাক, মুড়লির রাজু আহমেদ, চাউলিয়া গ্রামের আব্দুস সালাম বিশ্বাস, রামপুর গ্রামের শিমুল হোসেন, গোপালপুর রূপদিয়ার হাসানুর রহমান সাকিল, গোপালপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম রেজা, শ্রীপদ্দি গ্রামের আবু সাঈদ, বারীনগর বাজারের বুলবুল, আব্দুস সালাম, দক্ষিণ ললিতাদহ গ্রামের হাফিজুর রহমান, লাউখালী গ্রামের বাবলু, হাটবিলা জামতলার আফজাল হোসেন, শহরের হাজী আব্দুল করিম লেনের রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, সদর উপজেলার রূপদিয়ার লাইছ খান, মানিকদিহি গ্রামের শরীফ, শহরের ঘোপের রেজাউল ইসলাম মোল্যা, সদর উপজেলার সিরাজসিঙ্গা কুয়াদা বাজার এলাকার সিরাজ মোল্যা, কুয়াদা বাজার সরদারপাড়ার মফিজুর রহমান টিটু, রাজারহাট বাজারের লিটন হোসেন, মুড়লি স্কুলপাড়ার মারুফ হোসেন, রাজারহাট ধোপাপাড়ার রাজিব হাসান, রামনগরের জহির হাসান, মোজাহার, রাজারহাটের জাহাঙ্গীর, মনোহরপুর গ্রামের দাউদ ইব্রাহিম, রামনগর দক্ষিণপাড়ার পারভেজ, রামনগরের ইমামুল, শেখহাটি লিচুতলার বেনজির বিশ্বাস, মথুরাপুর গ্রামের পারভেজ, কচুয়া ঘাটকুলের আসলাম, গাইদগাছি গ্রামের অহেদ মোড়ল, মনোহরপুর গ্রামের আকরাম হোসেন, গাইদগাছি গ্রামের মশিয়ার রহমান, নরেন্দ্রপুর খোন্দকারপাড়ার ফারুকুজ্জামান রাসেল, হাটবিলা জামতলার কামাল শেখ, ঘুরুলিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন, গাইদগাছি গ্রামের কাজী রাহি তনি, বলরামপুর গ্রামের আব্দুল হালিম, গাইদগাছি গ্রামের অ্যাড. নুরুজ্জামান খান, শহরের ঘোপ জেল রোডের সৈয়দ আলী আশফাক, সদর উপজেলার রূপদিয়া কলাপট্টির মকবুল হোসেন, নরেন্দ্রপুর গ্রামের জিলহাজ, গোপালপুর গ্রামের ইমামুল ইসলাম তুহিন, নরেন্দ্রপুর বেলতলার সামাদ, ধোপাপাড়ার আলম, বানিয়ারগাতি গ্রামের শফিয়ার রহমান, গোপালপুর গ্রামের কামরুল ও বলরামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম।
‘সাজানো’ মামলায় যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের গাড়ি ভাঙচুর ও বোমা হামলার কথিত অভিযোগ এনেছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে রূপদিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এই মিছিলে বাধা ও হামলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এরপর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘সাজানো’ মামলা দায়ের করা হয় বলে অভিযোগ বিএনপি নেতৃবৃন্দের।