স্বাস্থ্যঝুঁকির অভিযোগে বন্ধ হচ্ছে জনসনের বেবি পাউডার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টেসর উপস্থিতি থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক স্বাস্থ্যসেবা পণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনের শিশুদের জন্য তৈরি ট্যালকম পাউডারের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০২৩ সাল থেকে এই পাউডার আর বাজারে মিলবে না। ক্যান্সার সৃষ্টির অভিযোগে আমেরিকা ও কানাডায় ২০২০ সাল থেকেই বন্ধ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) পরিচালিত পরীক্ষায় বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টসের ‘নিম্ন মাত্রার’ উপস্থিতি পাওয়ার কথা বলেছিল। এফডিএর ওই পরীক্ষার পর অক্টোবরে জনসন’স বেবি পাউডারের একটি লট বাজার থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয় কোম্পানিটি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, অ্যাসবেস্টস মানবদেহের ফুসফুসের ক্যানসার, অ্যাসবেস্টসিস রোগসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করা একটি পদার্থ।
বৃহস্পতিবার জনসন অ্যান্ড জনসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী বাজার মূল্যায়নের অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে এই পাউডার বিক্রি করা হয়েছে৷
জনসনের পাউডার ব্যবহার করা অনেক নারী অভিযোগ করে বলেছেন, জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহারে তাদের ডিম্বাশয়ে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়েছে। তবে জনসন অ্যান্ড জনসন দাবি করেছে তাদের পরীক্ষায় অ্যাসবেস্টস পাওয়া যায়নি।
২০১৮ সালে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছিল, জনসন অ্যান্ড জনসন ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতির কথা প্রথম থেকেই জানে।
জনসনের বেবি পাউডার প্রায় ১৩০ বছর ধরে বিক্রি হচ্ছে এবং কোম্পানিটি পরিবার-বান্ধব ইমেজের প্রতীক হয়ে উঠেছে। জনসন মূলত সাবান, শ্যাম্পু, লোশন ও পাউডার উৎপাদন করে থাকে।
জনসনের উৎপাদিত পণ্য নিরাপদ মনে করে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে