পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত মহম্মদপুরবাসী

0

 

মহম্মদপুর (মাগুরা) সংবাদদাতা॥ পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলাবাসীর জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন ঘন ফিউজ কাটা, ট্রান্সমিটারের ক্রটি ইত্যাদিতে দারুনভাবে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী। চলছে শ্রাবণ মাস নেই তেমন কোনো বৃষ্টি। মাঝে মাঝে আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা গেলোও ভারি বৃষ্টির দেখা মিলছে না। তাই প্রচন্ড গরমে মানুষ যেমন অতিষ্ট, অন্যদিকে দিনে রাতে বিদ্যূৎতের যাওয়া আশার প্রতিযোগিতায় বিদ্যুৎ নির্ভর মানুষগুলো দিশেহারা।
অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ায় দারুনভাবে বিঘিœত হতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রহস্ত হচ্ছে বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত টিভি, ফ্রিজ ও কম্পিউটার। চরম ভোগান্তির যন্ত্রণা থেকে বাদ পড়েনি অফিস আদালত এমনকি বিভিন্ন মিডিয়া পর্যন্ত। শহর এলাকায় একটু বেশি থাকলেও গ্রামাঞ্চলে একদমই বিদ্যুৎ থাকেনা বলে তারা সাধারণ মানুষ জানান। তবে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে জানা যায়।
পল্লী বিদ্যুতের টানা লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মানুষ। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়ায় অফিস আদালতে কম্পিউটার কাজে বারবার ব্যাহত হচ্ছে এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম করা সম্ভব না হওয়ায় জনগণের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। তাছাড়া বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আরো করুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সারাদেশের ন্যায় মহম্মদপুর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মুখে এখন বিদ্যুৎ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যা মোটেই কাম্য নয়।
পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং দৌরাত্ম্যের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা যে সফলতা লক্ষ করেছি তাতে এ ধরণের লোডশেডিং কারো কাম্য নয় বলে মনে করেন সচেতন মহল।
আশরাফ, রাজু, মুক্তারসহ অনেকেই বলেন, বিদ্যুতের সার্ভিস ভালো ছিলো। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ ঘনঘন যাওয়া আশায় চরম বিপাকে মানুষ। আবার অন্যান্য এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্ধারিত সময় থাকলেও আমাদের উপজেলায় কোনো সময় নির্ধারণ নেই। এতেও মানুষের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। তাই আমরা চাই স্বাভাবিক বিদ্যুতের নিশ্চয়তা।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, এ জোনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ মেগাওয়াট পিক আওয়ারে। কিন্তু পাচ্ছি ৮ মেগাওয়াট। তাই একটা অঞ্চলে একঘন্টা বিদ্যুৎ পাবে, একঘন্টা বন্ধ থাকবে। কিন্তু আমাদের শিডিউল ছিলো দুইঘন্টা বিদ্যুতের পর একঘন্টা বন্ধ। তাতে প্রয়োজন ১১ মেগাওয়াট, যেহেতু পাচ্ছি ৮ মেগাওয়াট তাই এভাবেই দিতে হচ্ছে।