শরণখোলার সহস্রাধিক জেলের সমুদ্র যাত্রা অনিশ্চিত

0

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ শেষে উপকূলীয় এলাকার শ শ ফিশিং ট্রলার মাছ ধরতে ছুটে যাচ্ছে সমুদ্র বুকে । কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম মৎস্য অবতরণ ও বিক্রি কেন্দ্র বাগেরহাটের শরণখোলার ক্ষেত্রে হয়েছে এর ব্যতিক্রম। অবরোধ শেষে সমুদ্রে যাওয়া হচ্ছেনা শরণখোলার সহস্রাধিক জেলের।
এখানের তিন শ ফিশিং ট্রলারের মধ্যে দুইশ ফিশিং ট্রলার ইতোমধ্যে সমুদ্র যাত্রা করেছে। কিন্তু একশ ফিশিং ট্রলারের সহস্রাধিক জেলে অবরোধ শেষ হলেও আর্থিক সংকটে এবং প্রস্তুতির অভাবে সাগরে যেতে পারছেন না। অবরোধে র্দীঘ সময় পেলেও আথিক সমস্যার কারণে তারা ট্রলার ও জাল মেরামত করতে পারেন নি। শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজার সংলগ্ন ডকইয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কিছু ট্রলারের মেরামতের কাজ চলছে। এ ছাড়া ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সাধারণ জেলেরা অন্য পেশায় যোগ দেয়ায় মহাজনরা এখন জেলে খুঁজে পাচ্ছেন না। এ সব কারণে সাগরে যেতে তাদের আরও অনেক সময় লাগবে বলে জানান তারা।
ট্রলার মালিক শরণখোলার আবুল হোসেন,পারেরহাটের দুলাল ফকির জানান, গত বছর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে তারা পুঁজি হারিয়েছেন। তারপর দীর্ঘদিনের অবরোধের কারণে তারা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত। একেকটি বড় ট্রলার মেরামত করতে তাদের ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয় । এসব খরচ করে তাদের এখন সাগরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
জেলেরা আরও জানান, সামনে আসছে আবার ২২ দিনের অবরোধ । তাই অনেক মালিক এখন মাছ ধরার জন্য উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। গত বছরের ধারদেনা এখনও পরিশোধ করতে পারেন নি। তাই অনেক ট্রলার মালিকের জন্য এবছর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জেলেরা অবরোধের সময় কমানোর দাবি জানান এবং বাংলাদেশ পানি সীমানায় ভারতীয় ট্রলিং জেলেদের মাছ ধরা বন্ধের কার্যকরী ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় জানান, শরণখোলাসহ প্রতিবেশী অঞ্চলের অনেক ফিশিং ট্রলার প্রস্তুতির অভাবে সাগরে যাত্রা করতে পারেনি। অনেক ট্রলার মেরামতে আছে। পর্যায়ক্রমে তারা সমুদ্রে যাবে।