মণিরামপুরে সালিশে ডেকে মারধরের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সালিশে মারধরের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগে নেতা শামছুল হক মন্টুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার(২০জুলাই) ঝাঁপা গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা খাতুন মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, ঝাঁপা গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম এবং মেয়ে তানিয়ো খাতুন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রুবিনা খাতুনের ভাই হেলাল হোসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী। আসামি তানিয়া খাতুন প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে করেন হেলালকে। হেলাল বিষয়টি মেনে নিয়ে স্ত্রী তানিয়ার যাবতীয় খরচ বহন করতেন। তিনি স্ত্রীকে নগদ ১ লাখ টাকাসহ সোনার অলঙ্কার ও আসবাবপত্র ক্রয় করতে ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৩শ’ টাকা দেন। এরপর তানিয়া তার মা ও পিতার পরামর্শে গত ১০ মে হেলালকে তালাক দেন। এই সংবাদ জানতে পেরে তানিয়াদের বাড়িতে গিয়ে হেলালের বোন রুবিনা খাতুন ভাইয়ের দেয়া নগদ টাকা, আসবাবপত্র, সোনার অলঙ্কার ফেরত চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাকে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন। এব্যাপারে মামলা করতে চাইলে চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পেরে মীমাংসা করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। গত ১৮ জুলাই উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান। সেখানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে তানিয়ার পরিবার কোনো কিছুই ফেরত দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়া হয়। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তানিয়ার মা ও পিতা রুবিনাকে মারধর শুরু করেন। এরপর চেয়ারম্যান তাকে কিল ঘুষি এবং লাথি মেরে পরিষদের বারান্দা থেকে ফেলে দেন।