বাঘ আতঙ্ক সুন্দরবন-ঘেঁষা গ্রামে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার লোকালয়ে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আনাগোনায় ঘর থেকে বের হতে রীতিমতো আতঙ্ক বোধ করছে গ্রামবাসী।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসান জানান, গোলাখালী গ্রামটি সুন্দরবন লাগোয়া। তিনদিকে নদী আর একদিকে সুন্দরবন। বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপগ্রামে ১২০টি পরিবারের বসবাস। তাদের পেশা সুন্দরবনের নদ–নদীতে মাছ ধরা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরবন থেকে একটি বাঘ গোলাখালী গ্রামে চলে আসে। ১৫ মিনিটের মতো হাঁটাহাঁটি করে বাঘটি আবার বনে ফিরে যায়।“
রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও জানান, বাঘ আসার এমন খবর জানতে পেরে সুন্দরবনের কৈখালী স্টেশনের এসও হারুন অর রশিদ ও তার ফরেস্টার এলাকার নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং স্থানীয়দেরও সচেতন করেছেন।
গোলাখালী গ্রামের বাসিন্দা আকলিমা খাতুনের ভাষ্য, “আমি সন্ধ্যার দিকে দেখি, সুন্দরবনের খাল পেরিয়ে একটি বাঘ লোকালয়ে ঢুকছে। আমি চিৎকার দিলে আরও লোকজন আসে। বাঘটি খালের পাশে হাঁটাহাঁটি করতে থাকে।”
“আমরা বাজির শব্দের পাশাপাশি টিনে শব্দ করতে থাকি। বাঘ কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করে বনের মধ্যে চলে যায়।”
গোলাখালী গ্রামের ভোলানাথ মণ্ডল জানান, বাঘের আতঙ্কে তারা প্রত্যেকে রাত জেগে এলাকা পাহারায় দিচ্ছেন।
বাঘ নিয়ে কাজ করা আবদুল গণি ওরফে টাইগার গণি জানান, তিনি সোমবার সকালে গোলাখালী গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন।
“বাঘ যে এলাকায় থাকে, সাধারণত সেখানেই ঘোরাঘুরি করে। কিন্তু শিকার ধরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে বাঘ লোকালয়ে এসে উৎপাত করে।”
ফলে বিষয়টি একেবারে হেলাফেলা করার নয় বলেই বনবিভাগকে অবগত করেছেন বলে জানান টাইগার গণি।
গোলাখালী গ্রামের বাসিন্দা বাবু মণ্ডল জানান, এই এলাকায় এর আগেও বাঘের উৎপাত দেখা দিয়েছিল। যার ফলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার জন্য তিনি বনবিভাগকে অনুরোধ জানান।