যশোরে যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনী খুন

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনী (৫৫) কে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। তিনি যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর চোপদার পাড়ার আকবরের মোড় এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র ছিলেন।
যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান জানান, আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বদিউজ্জামন ধনী নিজের বাড়ির সামনে দুবৃত্তদের হামলার শিকার হন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক জখম ধনীকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। কারা কী কারণে তার ওপর হামলা করে তা এখনও জানা যায়নি। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রায়হান, রহিম, আকাশসহ ৪/৫ জন রিকসায় এসে তার ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে টেনে হিচড়ে রাস্তায় নিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আনার পর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ফিরোজ মাহমুদ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ জড়িতদের শনাক্ত ও আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে।

হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত রায়হান

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, খুনের ঘটনায় রায়হান নামে এক সন্ত্রাসীর নাম শোনা যাচ্ছে। পুলিশ অন্যান্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে। রাযহানকে আটকের পর প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা বলেন, ঘটনার কারণ সর্ম্পকে তারা কিছুই তাৎক্ষণিক বুঝতে পারছেন না।

বদিউজ্জামান ধনীর উপর হামলা ও তার মৃত্যুর সংবাদের হাসপাতালে ছুটে আসেন বিএনপি, যুবদলসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ।
সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হলে প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে একজন রাজনৈতিক নেতা হত্যার শিকার হতে হয়। তিনি খুনিদের অবিলম্বে আটক করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি ঘটাতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।