সাংবাদিক রুবেল হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কুষ্টিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা। শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরে বিক্ষোভ করেন তারা।
এদিকে বেলা ১১টায় পৌর কবরস্থানে জানাজা শেষে সাংবাদিক রুবেলের লাশ দাফন করা হয়। জানাজায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলুসহ সর্বস্তরের সাংবাদিক অংশ নেন।
দাফন শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় রুবেল হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে কবরস্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাংবাদিকরা। মিছিলটি কলেজ মোড় হয়ে র‌্যাবগলি দিয়ে মজমপুর ট্রাফিক কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে তারা কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। অবরোধে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, এডিটরস ফোরাম, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ক্যামেরা পার্সনদের সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, রুবেল হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা না হলে কুষ্টিয়া অচল করে দেওয়া হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের ধরতে না পারলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু বলেন, ‘প্রশাসনের গাফিলতির কারণে একজন মেধাবী উদীয়মান সাংবাদিককে হারাতে হলো।’
সমাবেশের একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের প্রত্যাহার দাবি করেন তারা।
এদিকে রুবেল হত্যার প্রতিবাদে সাত দিনের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কর্মসূরির মধ্য রয়েছে- রুবেল হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ হবে না। আগামী শনিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ে তার পত্রিকা অফিসে ছিলেন সাংবাদিক রুবেল। ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে একটি কল পাওয়ার পর অফিসের পিয়নকে ‘বাইরে থেকে আসছি’ বলে দ্রুত বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রুবেলের ছোট ভাই ওইদিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেতুর নিচে নদীতে তার লাশ ভেসে ওঠে। পরনের জামা-কাপড় ও মানিব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে।