যশোরে ফন্টু চাকলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ মোস্তফা ফরিদের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন। যশোর কোতয়ালি থানায় দায়ের করা অভিযোগে আরও ছয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যারা সকলে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতা কর্মী।
মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও যশোর শহরের খালধার রোড ২৬১/১ লোন অফিস পাড়ার মৃত আনোয়ার আলী চৌধুরীর ছেলে।
তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু (৪৫) কাজীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাদের চাকলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক লোন অফিস পাড়ার মৃত ফারাজী শাহাদৎ হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান বাঁধন (৪০), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কাজীপাড়া তেতুঁলতলা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রওশন ইকবাল শাহী (৩২), কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার আমজাদ হোসেন পাঁকা মিয়ার ছেলে বাবুল (৪৫), রেলগেট তেতুঁলতলা এলাকার প্রয়াত ফখরে আলমের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমিদ হুদা বিজয় (২৫), কাঁঠালতলা বটতলা এলাকার তৌফিক সরকার তকুর ছেলে তাপস (৩৫), কাজীপাড়া মনিকতলা এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নুরনবী (৪০) এবং ছাত্রলীগের শহর শাখার আহবায়ক কাজীপাড়ার কুটি শেখের ছেলে মেহেদী হাসান রনি (৩০)।
সোমবার রাতে থানায় দেয়া অভিযোগে মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, আসামিদের সাথে তার রাজনৈতিক পূর্ব বিরোধ আছে। আসামি তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু একটি হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। সে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এমপি শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই হওয়ার সুবাদে নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকা- ও চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। সকল অভিযুক্ত তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর সহযোগী। ফন্টুর এই সব কার্মকান্ডের বিরোধিতা করায় সে তাকে হত্যার পায়তারা করে আসছে। গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুইটি গাড়িতে করে (যার মধ্যে একটি ডার্ক ব্লু রং এর (ঢাকা মেট্টো-ঘ-১৩-৯৮৯২) তার বাড়ির সামনে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি ঘর থেকে বাইরে আসলে ফন্টু তাকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দেয়। বলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলা হবে। কিছুক্ষণ পর ফের দুইটি গাড়ি তার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় এবং তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয় শাহীন চাকলাদারের রাজনৈতিক বাঁধা। পথ পরিষ্কার করে ফেলবো। এই বলে চলে যায়। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হুমকিদাতারা চলে যায়।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানায় ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।