মহানবী স. কে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, বাগেরহাটে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ গুলি, আহত ২৫ আটক ১২

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ মহানবী হজরত মুহাম্মদ স. কে নিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারীতে কলেজ শিক্ষার্থী কর্তৃক ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদ দোষীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জনতা। মিছিলকারীদের থানায় প্রবেশে বাধা দিলে বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে ১২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতের অধিকাংশকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে চিতলমারী থানার সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, চিতলমারী উপজেলার চরডাকাতিয়া এলাকার রমনি বালার মেয়ে শেরে বাংলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী রনিত বালা রনি (১৮) কয়েকদিন আগে তার ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ স. কে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননা করে পোস্ট দেয় এবং ভিডিও ভাইরাল করে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে রবিবার (১৯ জুন) রাতে রনিত বালা রনিকে আটক করে পুলিশ। তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন পুলিশ সদস্যরা। গতকাল (সোমবার) দুপুরে হঠাৎ করে স্থানীয় জনতা রনিত বালা রনির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এক পর্যায়ে তারা থানায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ বাধা দিলে ঘটনা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ২৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হোসেনের গাড়ি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও থানা পুলিশের ওসির গাড়ি, ৪টি মোটরসাইকেল ও থানায় কাঁচের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে ১০ জনের মত স্থানীয় জনতা চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজনের সেলাই লেগেছে, অন্য কয়েকজনের শরীর থেকে রাবার বুলেট বের করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের জরুরি মেডিকেল টিম থানায় গিয়ে ১২ জন পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দিয়েছেন।’ তবে হাসপাতালে কেউ ভর্তি নেই বলে দাবি করেন তিনি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা আইন হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদেরকে বাধা দিলে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’