যশোরে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও মারধর, আটক এক

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে পুলিশ পরিচয়ে বাবুল আক্তার দুদু নামে এক কলেজ কর্মচারীকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি ও মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। গেল শনিবার রাতে সদর উপজেলার বড় বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন এ সময় মানিক হোসেন (২০) নামে এক চাঁদাবাজকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন। মানিক হোসেন বড় বালিয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী বাবুল আক্তার দুদু বড় বালিয়াডাঙ্গা ঈদগাহ পাড়ার মৃত ইজ্জাত আলীর ছেলে। তিনি যশোরের ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে পিয়ন এম এল এস এস পদে চাকরি করেন।
পুুলিশ জানায়, চাঁদাদাবি ও মারধরের অভিযোগে আটক মানিক হোসেনসহ ৭ জনকে আসামি করে রোববার সকালে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন বাবুল আক্তার দুদু। অপর আসামিরা হলেন-বড় বালিয়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার জামিরুল ইসলামের ছেলে ইয়াছিন হোসেন (২২), ইরফান হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেন (২৩), আলম হোসেনের ছেলে ইমন হোসেন (২২), বাবুল হোসেনের ছেলে সবুজ হোসেন (২৫), বড় বালিয়াডাঙ্গা কাজীপাড়ার হক কাজীর ছেলে সবুজ কাজী (২৪) ও উপশহর এস ব্লক এলাকার সৈয়দ রওশন আলীর ছেলে সৈয়দ শামীম মেহেদী ওরফে খোঁড়া শামীম (৩৫)।
বাবুল আক্তার দুদু’র অভিযোগ, গত শনিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে তিনি পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় আসামিরা তার বাড়ির অভ্যন্তরে ঢোকে এবং নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দেন। তারা তাকে বলেন, ‘ভাই এই এলাকায় আমরা নতুন এসেছি। ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে এসেছি। আপনি আমাদের সাথে একটু সহযোগিতা করুন।’ তখন তিনি সরল বিশ্বাসে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল (যশোর-ল-৪৬০৮) নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর তারা তাকে সাথে নিয়ে ছোট শেখহাটি গ্রামের শাহিনের মুদি দোকানের সামনের ব্রিজের ওপর যান। তারা এ সময় তার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ফলে বাবুল আক্তার দুদু বুঝতে পারেন, এই যুবকেরা পুলিশের লোক নন। তারা তাকে মিথ্যা কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসেছেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে বেদম মারধর করেন। কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেন। এরপর তারা তার মোটরসাইকেল কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার দেন। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে চাঁদাবাজ দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যান। তবে ধাওয়া করে জনতা মানিক হোসেন নামে একজনকে আটক করতে সক্ষম হন। পরে পুলিশ এলে তাকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে মানিক হোসেন পালিয়ে যাওয়া তার সঙ্গীদের নাম প্রকাশ করেন।