পাইকগাছায় নৈরনদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ, জলাবদ্ধতায় ফসলহানির শঙ্কা

0

জিএম মিজানুর রহমান, পাইকগাছা (খুলনা) ॥ পাইকগাছায় নৈরনদীর ৩২ জায়গায় নেট-পাটা ও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় ৩০ গ্রামের পানি ওঠা-নামার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত এ বাঁধ ও নেটপাটা অপসারণ না করা গেলে বর্ষা মৌসুমে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান,নৈরনদী চাঁদখালী ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে গড়ইখালী ইউনিয়নের মিনহাজ নদীতে মিশেছে। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ কিলোমিটার। চাঁদখালী,গড়ইখালী ও লস্কর ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের পানি ওঠা-নামা করে এ নদী দিয়ে। কানাখালী মৎস্য সমবায় সমিতির’অনুকূলে সরকার ৩ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে। যা দেখভাল করেন স্থানীয় গোলক চন্দ্র মন্ডল। এদিকে ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে নদীটি ৩২ খন্ডে বিভক্ত করে সাবলিজ দেওয়ায় সেখানে নেট-পাটা ও বাঁধ দিয়ে খন্ড খন্ড করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এর ফলে গত বছরের মত চলতি বর্ষা মৌসুমে আবারও এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসলহানির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
কৃষক মাছুম মোড়ল জানান, গত বছর বিলের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ধানে বীজতলা ও রোপণকৃত ধানসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এলাকাবাসী চেয়ারম্যানদের কাছে অভিযোগ করে কোনো ফল পায়নি। চাঁদখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজাদা আবু ইলিয়াস বলেন,আইনশৃক্সক্ষলা ও সমন্বয় সভায় উত্থাপন করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উচ্ছেদ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। গোলক মন্ডল বলেন , নদীটি কানাখালী মৎস্য সমবায় সমিতির পক্ষে আমি দেখাশোনা করি। এবছর কোনো খন্ড থেকে টাকা উঠানো হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, পানি ওঠা-নামার পথ বন্ধ করে কোনো নদ-নদীতে মাছ চাষ করার সুযোগ নেই। আর জলবদ্ধতার কারণে ফসলের ক্ষতি হবে তা কোনভাবে মেনে নেওয়া হবে না।