খুলনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম মনা, ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে কিন্তু মামলা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা ॥ খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের সমাবেশ পন্ড করেছে। তাদের হামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশের টিয়ারসেল ও গুলিতে নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত জখম হয়েছে। শুধুমাত্র নেতাকর্মীরা নয়, তাদের হাত থেকে পথচারী ও ব্যবসায়ীরা রক্ষা পায়নি। পুলিশ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের প্রধান দরজা ভেঙে অফিস তছনছ করেছে, কিন্তু পরে মামলা করা হয়েছে উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। দলীয় কার্যালয় থেকে দরজা ভেঙে মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, ১২ জন নারী নেত্রীসহ মোট ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সদস্যরা নারী নেত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মনা আরও অভিযোগ করেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ যুবলীগের হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে নেতাকর্মীদের ওপর তান্ডব চালিয়ে অফিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে। সরকার শেষ মুহূর্তে এসে অসহিষ্ণু আচরণ করছে। খুলনার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহবস্থানের ঐতিহ্য ছিলো, এই ন্যাক্কারজনক বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে শান্ত খুলনাকে অশান্ত করা হয়েছে। ছাত্রলীগ যুবলীগের তান্ডবে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ সেখান থেকে অনেককে আটক করেছে। বুধবারের ঘটনায় ৫ শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি পুলিশ সদস্যরাও চেয়ার ভাঙচুর করেছে যা ভিডিও ফুটেজে প্রমাণ আছে। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ছাত্রলীগ যুবলীগের চিহ্নিত হেলমেট বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম জহির ও জেলা সদস্যে সচিব মনিরুল ইসলাম বাপ্পি, কাজী মো. রাশেদ, স. ম আব্দুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, রুবায়েত হোসেন বাবু, অ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, নিঘাত সীমা প্রমুখ।