অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা খুলনা জেলা বিএনপির

0

 

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা ॥ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে হত্যার উদ্দেশ্যে রবিবার অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার গাড়িটি ব্যাপক ভাঙচুর করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাসভবনে, যশোর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও আলহাজ মিজানুর রহমান খানের বাড়িতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিক সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে আওয়ামী লীগের পোষ্য সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (২৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, লোডশেডিংয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশ, জ্বালানি তেল-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধি, লুটপাটে দুর্নীতিতে জর্জরিত নিশিরাতের ভোটডাকাত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থতায় প্রিয় মাতৃভূমি আজ দেউলিয়াত্বের পথে। জনবিরোধী আওয়ামী সরকারের হাতে দেশ আজ অনিরাপদ, সে কারণে জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে বিএনপি’র একেরপর এক জনবান্ধব কর্মসূচিতে জনস্রোত দেখে জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। সে কারণে সুস্থধারার রাজনৈতিক চর্চা ছেড়ে কতিপয় অসাধু পুলিশের সহায়তায় রাতের আঁধারে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অর্তকিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ত্রাস সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের যশোরের বাসভবনে, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খানের বাড়িতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সন্ত্রাসীরা ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। শুধু তাই নয়, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপি’র সমাবেশ শেষে ফেরার পথে নগরঘাট এলাকায় কতিপয় পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা চালিয়েছে। এতে খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোল্লা খায়রুল ইসলামসহ ১০জন মারাত্মক আহত হয়েছেন। পুলিশ উল্টো দিঘলিয়া উপজেলা যুবদল নেতা কুদরতে ইলাহী স্পিকার ও জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ রাসেল হাসান নাসিমসহ ৬জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দুদিন পর শুক্রবার রাতে দিঘলিয়া থানায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক মামলা করেছে আওয়ামী লীগ। এদিকে, দিঘলিয়ার বিক্ষোভ সমাবেশে ব্যাপক জনবিস্ফোরণ দেখে দিকবিদিকশুন্য আওয়ামী লীগ কতিপয় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। বিএনপির সমাবেশে অংশ নেয়ায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ। অবিলম্বে নেতাকর্মীদের আটক-গ্রেফতার, সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও রাতের আঁধারে চোরাগোপ্তা হামলার পথ পরিহার করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফেরার আহবান জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।