মৌসুমের প্রথম থেকেই সুন্দরবনের গোলপাতা বিক্রি কম : ব্যবসায়ীরা হতাশ

0

এইচ,এম,শফিউল ইসলাম, কপিলমুনি (খুলনা) ॥ মৌসুমের প্রথম থেকেই সুন্দরবনের গোলপাতা বিক্রি কম, মৌসুমের সময়ের সুন্দরবনের গোলপাতা আহরণ উৎসবে বাওয়ালিরা খুশি হলেও বিক্রয় মৌসুমে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক হতাশ। অন্য বছরের চেয়ে চলতি বছরে গোলপাতার চাহিদা কম। সময়ের সাথে সাথে মানুষ গোলপাতার ঘরের পরিবর্তে টিনের বা সেমি পাকা ঘরের দিকে ঝুঁকছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বাওয়ালি ও গোলপাতা ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাওয়ালিরা ও গোলপাতা ব্যবসায়ীরা জানায়, বছরের ডিসেম্বরে শুরু হয় গোলপাতা আহরণ মৌসুম। জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে গোলপাতা বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। তবে গোলপাতা ব্যবসায়ীদের আগ্রহ থাকলেও গোলপাতা বিক্রয় না হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির মো. কুদ্দুস গাজী, নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে সুন্দরবনের গোলপাতা ব্যবসা করে আসছেন, কিন্তুপাতার ব্যবসায় এ রকম ধস আগে কখনো দেখেননি তারা। তারা বলেন মৌসুমের শুরুতেই প্রতিবছর দুইবার করে নৌকায় ৫/৭ লাখ টাকার গোলপাতা কিনে আড়ৎদারী করেন। কিন্তু এ বছর তেমন বিক্রি না থাকায় তারা শঙ্কায় রয়েছেন। বিক্রয়ই নাই তার ওপর এবার সরকার বন বিভাগে যে পরিমাণ কর খাজনা ধরেছে তাতে করে মাহজন আড়ৎদাররা বিপাকে রয়েছেন।
গোলাবাড়ি গোলপাতা ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, বর্তমানে পাতার ব্যবসায় টিকে থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, জানিনা টিকে থাকতে পারা যাবে কিনা। আরশাদ আলী জানান যেই যাই বলুক না কেনো আরামদায়ক গোলপাতা ঘরেই বসবাস করবো।
এ বিষয় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইকবল মন্টু বলেন ঐতিহ্যবাহী গোলপাতা সুন্দরবনের অন্যতম। এটি আমাদের বাপ দাদারা ব্যবহার করতে শিখিয়েছেন,আমরা আরাম পাই এখনও। তাই এলাকায় এখনো অনেক গোলপাতার ঘর আছে। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঝড় বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই সেমি পাকা বা পাকা ঘরের দিকে ঝুঁকছেন। এ কারণে গোলপাতার ব্যবহার কিছু কমে যেতে পারে।
এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, বরাবরই গোলপাতা কর্তন কুপগুলি এলাকা ভিত্তিকভাবে ডাকে বিক্রয় হয়। সে ক্ষেত্রে সরকার ধার্যকৃত কর খাজনা দিয়ে বাওয়ালিরা গোলপাতার কুপ কর্তন করতে যায়। তবে বেচা কেনা ভালো থাকলে বাওয়ালিরা শুধু নয় ব্যবসায়ীরাও ভালো থাকেন।