১ কোটি ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ যশোরে প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত প্রতিষ্ঠানের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গোলাম কুদ্দুস ভিকুর স্ত্রীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বুধবার ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সাবেক নির্বাহী পরিচালক মরহুম গোলাম কুদ্দুস ভিকুর স্ত্রী আমেনা খাতুন মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন-প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার মো. বাহার আলী, সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সভাপতি এস এম নাজিম উদ্দিন ও প্রধান হিসাবরক্ষক মো. মাসুদুর রহমান।
মামলায় আমেনা খাতুন উল্লেখ করেছেন, তার স্বামী গোলাম কুদ্দুস ভিকু যশোর উপশহরের এ-ব্লকস্থ প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করলে বিষয়টি তার স্বামী টের পেয়ে যান। এ কারণে গোলাম কুদ্দুস ভিকু টাকার হিসাব চাইলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। তারা তাকে খুন করারও হুমকি দেন। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ২ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা ভাড়াটে খুনি জুয়েল, কবির হোসেন ও কেরু নজরুলকে দিয়ে গোলাম কুদ্দুস ভিকুকে হত্যা করেন। গুলি চালিয়ে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিলো। এ ঘটনায় আসামি মো. বাহার আলী ও মো. মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সেই সময় কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। বর্তমানে তারা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। হত্যাকা-ের পর আমেনা খাতুন তার মৃত স্বামীর প্রতিষ্ঠিত প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার বিভিন্ন কাজের জন্য রক্ষিত ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ও আত্মসাৎকৃত ১৭ লাখ টাকার হিসাব চাইলে উল্লিখিত ৪ আসামি তা দিতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে আমেনা খাতুন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির মেম্বার হতে চাইলে আসামিরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। আমেনা খাতুন তাদের কথায় বিশ্বাস করে টাকা দিতে রাজি হন। ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর আসামিরা তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। কথা ছিলো ২ মাসের মধ্যে তাকে গভর্নিং বডির মেম্বার করে দিবেন। কিন্তু ৬ মাস পার হয়ে গেলেও আমেনা খাতুনকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গভর্নিং বডির মেম্বার করা হয়নি। এ কারণে গত ২০ এপ্রিল প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার কার্যালয়ে তার দেয়া ৫ লাখ টাকা ফেরত চান আসামিদের কাছে। এ সময় আসামিরা সাফ জানিয়ে দেন, তাকে গভর্নিং বডির মেম্বার করবেন না। এমনকী প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার আত্মসাৎকৃত ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং আমেনা খাতুনের দেয়া ৫ লাখ টাকাও তারা ফেরত দিবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে আমেনা খাতুন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।