বেনাপোলে মোগর আলী হত্যা মামলায় আটক ভাতিজার আদালতে স্বীকারোক্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর বেনাপোলের কাগমারি গ্রামে মোগর আলী হত্যা মামলায় আটক নিহতের ভাতিজা হারুন মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন মোগর আলী এবং পরে মারা যান। আর এ ঘটনার সাথে হারুনের পিতা ও ছেলে জড়িত। জবানবন্দিতে এমনই কথা জানিয়েছেন তিনি।
মো. সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আসামি হারুনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক। হারুন একই গ্রামের আরব আলীর ছেলে।

জবানবন্দিতে হারুন জানান, মোগর আলী তার আপন চাচা। পৈত্রিক জমি নিয়ে চাচার সাথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মাঝে মধ্যে তাদের সাথে চাচার ঝগড়া হতো। গত ১৬ এপ্রিল ইফতারের পর চাচা ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে তাদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এরই এক পর্যায়ে চাচা মোগর আলী ও পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হারুনদের ওপর হামলা চালান। পাল্টা হামলায় চাচা মোগর আলী গুরুতর আহত হন। পরে চিৎিসাধীন অবস্থায় চাচা মারা যান।
উল্লেখ্য, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় কাগমারি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মোগর আলী নিহত হন। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ব্যপারে নিহতের ছেলে হোসেন আলী ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামি হারুন ও সামছুর রহমানকে আটক করে। মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে এর মধ্যে হারুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।