অজ্ঞাত কারণে বন্ধ ছিল সিসি ক্যামেরা, ফুলতলা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে রহস্যজনক চুরি

0

শামসুল আলম খোকন, ফুলতলা (খুলনা) ॥ বাংলা নববর্ষের রাতে (বৃহস্পতিবার) খুলনার ফুলতলা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে বিভিন্ন দপ্তরে রহস্যজনক চুরি হয়েছে। চোরেরা পাঁচটি রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করলেও শুধুমাত্র অফিস সহকারীর ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ’ টাকা চুরির অভিযোগ করা হয়েছে। ওইদিন রাত ৯টা থেকে পরের দিন ভোর ৬টা পর্যন্ত পরিষদের সিসি ক্যামেরাও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ ছিল।
উপজেলা পরিষদের সাঁট-মুদ্রাক্ষারিক কাম কম্পিউটার অপারেটর বি.এম সেলিম রেজা বলেন, ‘শনিবার রাত সাতটার দিকে ইউএনও স্যারের একটি ফাইল খুঁজতে দরজার তালা খুলে রুমে গিয়ে দেখি টেবিলের ড্রয়ার ভাঙা এবং কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। গভীর নলকূপের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে জমা নেয়া ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ’ টাকা ড্রয়ারে নেই।’
ফুলতলা থানা পুলিশের ওসি মো. ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ‘শনিবার রাতে ইউএনও সাদিয়া আফরিনের ফোন পেয়ে উপজেলা পরিষদে যাই। এ সময় উপজেলা পরিষদ ভবনের দ্বিতীয়তলায় চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষ, সভা কক্ষ, অফিস সহকারীর কক্ষ, প্রকৌশলীর অফিস কক্ষ ও হিসাব সহকারীর অফিস কক্ষ এবং নিচতলার পরিসংখ্যান অফিস কক্ষের উত্তর পাশে অর্থাৎ পিছনের জানালার কপাট খুলে গ্রিলের সামান্য অংশ ভাঙা এবং টেবিল-আলমারীর ড্রয়ার খোলা ও কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো দেখা যায়। ব্যাংকের চেক ও মূল্যবান কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো থাকলেও কিছুই খোয়া যায়নি। তবে উপজেলা পরিষদের সাঁট-মুদ্রাক্ষারিক কাম কম্পিউটার অপারেটর বি. এম সেলিম রেজার দপ্তরের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ’ টাকা খোয়া গেছে বলে তার অভিযোগ।’ তিনি বলেন, ঘটনার রাতে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত ভবনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা অজ্ঞাত কারণে বন্ধ থাকে। এই সময়ের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটেছে। সকাল ৬টা থেকে পুনরায় সিসি ক্যামেরা চালুর বিষয়টি জনমনে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিসি ক্যামেরা অপারেটর ফাহাদ হোসেন বলেন, পরিকল্পিতভাবে কেউ না কেউ রাউটারের কাছ থেকে সিসি ক্যামেরার ক্যাবল খুলে রাখায় ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন বলেন, চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফুলতলা থানার ওসিকে খবর দেয়া হয়। তিনি ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করেন। সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তে এ চুরির রহস্য উদঘাটন হবে।
এদিকে রোববার সকালে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিআইডি’র একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে এ ঘটনায় বি.এম সেলিম রেজা রোববার দুপুরে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।