শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা জরুরি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চার উন্মুক্ত সুযোগ জরুরি। এক্ষেত্রে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত মুজিববর্ষ আন্ত:কলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। রোববার (২৭ মার্চ) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘৭ই মার্চ ১৯৭১: একটি ভাষণে একটি জাতি রাষ্ট্রের সৃষ্টি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, এখানে ৭০ভাগ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশোনা করে। সারা বিশ্বে মেধা ছড়িয়ে দেবার মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থীরা দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণায় শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। এই মহান নেতা সারা জীবন শোষিত-নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছেন। ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া খোকা আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন স্বাধীনতা। তিনি বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ৭ মার্চের দর্শন ও জাতির পিতার আদর্শ সবাইকে অনুসরণ করতে হবে। ২০২০ ও ২০২১ সাল জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, কেননা ২০২০ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ভাষার ওপর আঘাত বাঙালি মেনে নিতে পারেনি। কারণ, ভাষার ওপর আঘাত মানে অস্তিত্বের ওপর আঘাত। ১৯৭০’র নির্বাচনে জয়ী হবার পরেও পাকিস্তান সরকার অন্যায়ভাবে আমাদের ক্ষমতায় যেতে দেয়নি। পরবর্তীতে, বঙ্গবন্ধুর ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। স্পিকার বলেন, কোনো ধরনের শোষণ-বঞ্চনা ও দারিদ্র্য যেন না থাকে তাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় মুখ্য আলোচক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তা ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।