রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্যাসের দাম বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে গ্যাসের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হবে আমরা কখনো কল্পনা করিনি। যুদ্ধটি সামনে চলে আসায় কিভাবে আমরা দেশের অর্থনীতি মোকাবিলা করবো সেটি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সভা শেষে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, সভায় ৫টি কুইক রেন্টাল প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমেদান দেয়া হয়েছে। তারা ৫ বছরের জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করলেও আমরা ২ বছরের জন্য সময় বাড়িয়েছি। নো বিদ্যুৎ নো পেমেন্ট হিসাবে সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেয়ার সময় একটা সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল কেউ বিদ্যুৎ না নিলেও সরকার বিদ্যুৎ কিনবে।
তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মাথায় অতিরিক্ত তিন হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। তখন আস্তে আস্তে কুইক রেন্টালের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে।
বাংলাদেশে বিশ্বের অনান্য দেশের তুলনায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম বেশি সিপিডি‘র এমন মন্তব্য নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো সিপিডির। আশেপাশের দেশের তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতি অনেক কম। আমাদের মূল্যস্ফীতি যখন ৬ এর নিচে ছিল তখনও সিপিডি বলেছে দেশের মূল্যস্ফীতি বেশি। দেশের অর্থনীতি কেবল সিপিডি বুঝে বিষয়টি এমন নয়। আরও অনেকেই অর্থনীতি বুঝেন। তবে দেশের অর্থনীতিতে সিপিডি‘র অবদান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে কেউ লুজার হবে না, সবাই জিতবে। ব্যবসায়ীরাও উইনার হবে, জনগণও জিতবে, সরকারও জিতবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। উপস্থাপিত ১১টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ১৩৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংক থেকে ৪৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সাতটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।