লোকসমাজ ডেস্ক॥ দেশের প্রথম কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্রকল্প এলাকায় উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আল্ট্র্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত এ বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের বিদ্যুৎ খাতের এক নতুন মাইলফলক। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালী পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পায়রায় পৌঁছানোর পর রাবনাবাদ নদীর কয়লা জেটিতে রঙিন পাল তোলা ২০০ নৌকা থেকে পতাকা উড়িয়ে এবং গানের সুরে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো হয়। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী সশরীরে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘এই মার্চ মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের মাস, অনেক ত্যাগের মাস। আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালাতে পারলাম। এটাই সবচেয়ে বড় কথা, আমরা আলোকিত করতে পেরেছি প্রতিটি ঘর।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা একটা কথা বলতেন যে, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। কারও কাছে হাত পেতে না, নিজের পায়ে দাঁড়ানো। নিজের ক্ষুধার অন্ন নিজেরা উৎপাদন করব। ‘কত স্বপ্ন ছিল, কত আকাক্সক্ষা ছিল। সেভাবে তিনি পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। পল্লী বিদ্যুতায়নকে কত গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০২২ সাল। এই দীর্ঘ সময় সরকারে থাকতে পেরেছি, সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। ভোট দিয়ে আমাদেরকে তারা নির্বাচিত করেছেন। এই ১৩ বছর একটানা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অব্যাহত রয়েছে। এর মাঝে ঝড়-ঝঞ্ঝা অনেক এসেছে, বাধা অনেক এসেছে। কিন্তু সে বাধা আমরা অতিক্রম করছি।’ সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত করব, প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে। আলোর পথে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনটা সেই আলোর পথে যাত্রা শুরু যে সফল হয়েছে, সেই দিন। আপনাদের সবাইকে সে জন্য ধন্যবাদ জানাই।’