যশোরে সৌদি আরবের জাল ভিসা দেয়ায় পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে প্রতারণার মাধ্যমে ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে সৌদি আরবের জাল ভিসা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল গফুর ও শিলন আহমেদ নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সম্পর্কে তারা পিতা ও পুত্র। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় (আরামডাঙ্গা) তাদের বাড়ি। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় সোমবার অভিযুক্ত পিতা ও পুত্রের বিরুদ্ধে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইনে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। যশোর সদর উপজেলার উত্তর ললিতাদাহ গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে রিয়াদ হোসেন মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামিরা রিয়াদ হোসেনের পূর্ব পরিচিত। তারা তাকে সৌদি আরবে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় মোট ৪ লাখ ৭ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে তারা রিয়াদ হোসেনকে জানান, তার সৌদি আরবে যাবার সকল কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেছে। ভিসাও পাওয়া গেছে। ২০২১ সালের ১৯ জুন যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটা হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর একই বছরের ১৭ জুন রিয়াদ হোসেন তাদের বাড়িতে গেলে তাকে সৌদি আরবের ভিসাসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও বিমানের টিকিট দেয়া হয়। এ সময় আসামিরা তাকে ওইদিন রাতেই ঢাকায় গিয়ে ফকিরাপুল অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু তাদের কথামত ফকিরাপুল গিয়ে আসামিদের কোনো অফিস খুঁজে পাননি রিয়াদ হোসেন। ফলে তাদেরকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রিয়াদ হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাকে দেয়া সৌদি আরবের ভিসাসহ সকল কাগজপত্র জাল। এরপর থেকে আসামিদের খোঁজ করতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে গত ১৯ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে তাদেরকে যশোরের সাতমাইল বাজারে পেয়ে জাল ভিসা দেওয়ার কারণ জানতে চান রিয়াদ হোসেন। সেই সাথে তার দেয়া ৪ লক্ষাধিক টাকা ফেরত দিতে বলেন। এ সময় আব্দুল গফুর ও তার ছেলে শিলন হোসেন জাল ভিসা দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাকে খুন জখমের হুমকিও দেয়া হয়। এ কারণে বাধ্য হয়ে রিয়াদ হোসেন আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।