লারার রেকর্ড ভেঙে দলকে বাঁচালেন তিনি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রথম ইনিংসে রীতিমতো গড়েছিলেন ইতিহাস। প্রায় ৫শ বলের ইনিংস খেলে দলকে নিয়েছিলেন শক্ত অবস্থানে। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় ঠিকই পড়তে হয় চাপে, দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা দেয় হারের শঙ্কা। সেখানে আবারও দেয়াল গড়লেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। বার্বাডোজ টেস্টে শেষ পর্যন্ত ফল আসেনি। ব্রাথওয়েটের দৃঢ়তায় ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়ে ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচের শেষ দিন ৬৫ ওভারে ২৮২ রান করতে হতো ক্যারিবীয়দের। সেই পথে না হেঁটে ৬৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৫ রান করে ড্র’তেই সন্তুষ্ট থাকে তারা। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ বলে ১৬০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় সোয়া চার ঘণ্টা ব্যাট করে ১৮৪ বলে ৫৬ রান করেছেন ব্রাথওয়েট। দুই ইনিংস মিলে ৬৭৩ বলের ম্যারাথন এক ম্যাচ খেলে তিনিই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। চলতি শতাব্দীতে এক ম্যাচে ব্রাথওয়েটের এই ৬৭৩ বলের চেয়ে বেশি খেলতে পেরেছেন শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং। তিনি ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে দুই ইনিংস মিলে মোকাবিলা করেন ৭১০টি ডেলিভারি।
এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বল খেলার বিশ্বরেকর্ড অবশ্য অনেক দূরে। প্রায় শত বছর আগে ১৯২৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এডিলেইড টেস্টে দুই ইনিংস মিলে ৯৭৭ বল মোকাবিলা করেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ব্যাটার ওয়ালি হ্যামন্ড। তবে একটি জায়গায় ঠিকই ওপরে উঠে গেছেন ব্রাথওয়েট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি বল খেলা ব্যাটার এখন তিনিই। এ রেকর্ড গড়ার পথে কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার করা দেড় যুগ আগের রেকর্ড ভেঙেছেন ব্রাথওয়েট।
২০০৪ সালের এপ্রিলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বরেকর্ড ৪০০ রানের ইনিংস খেলার পথে ৫৮২ বল মোকাবিলা করেন লারা। সেই ম্যাচে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি তিনি। তবু এতোদিন ধরে এটিই ছিল ক্যারিবীয়দের পক্ষে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড। রোববার রাতে এসব রেকর্ড মনে করিয়ে দেওয়া ইনিংস খেলার পথে সতীর্থ ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখেছেন ব্রাথওয়েট। ম্যাচ বাঁচাতে ৬৫ ওভার খেললেই হবে- এমন পরিষ্কার সমীকরণের মাঝেও ৪৫ ওভারের মধ্যে মাত্র ৯৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান পাঁচ ব্যাটার। পরে উইকেটরক্ষক ব্যাটার জশুয়া ডা সিলভার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২০.৩ ওভারে ৪২ রান যোগ করে ম্যাচ বাঁচান ক্যারিবীয় অধিনায়ক। জশুয়া ৬৩ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া জার্মেইন ব্ল্যাকউড ৮৪ বলে ২৭ ও জেসন হোল্ডার ২৪ বলে ০ রানে আউট হন। এর আগে দিনের প্রথম সেশনে ২৪.৫ ওভার ব্যাটিং করে ওভারপ্রতি প্রায় ছয় করে ১৪৫ রান যোগ করে ইংল্যান্ড। বিনা উইকেটে ৪০ থেকে ৬ উইকেটে ১৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ফলে প্রথম ইনিংসের ৯৬ লিডসহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮২ রান। অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম ম্যাচটিও ছিল নিষ্ফলা ড্র। ফলে গ্রেনাডার সেইন্ট জর্জ স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে কাদের হাতে উঠে সিরিজের শিরোপা।