পোশাক রপ্তানির আড়ালে পৌনে দুই কোটি টাকা পাচারের চেষ্টা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥বিদেশে নন-বন্ডেড (লোকাল) তৈরিপোশাক রপ্তানির আড়ালে মুদ্রা পাচারের চেষ্টার ঘটনা উদঘাটন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে মুদ্রা পাচারের সে চেষ্টা ভেস্তে যায়।
নগরীর বেসরকারি কন্টেইনার টার্মিনাল (অফডক) এছাক ব্রাদার্স লিমিটেডের ডিপোতে এ ঘটনা শনাক্ত করে কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগ।
এ নিয়ে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার ‘৫এফ অ্যাপারেলস লিমিটেডের’ বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
কাস্টমস হাউজ সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে তিন হাজার ডজন তৈরি পোশাক রপ্তানির ঘোষণা দিয়ে পণ্যের চালানটি ৫এফ অ্যাপারেলস নামের প্রতিষ্ঠানটি গত ২৯ জানুয়ারি বন্দর সংলগ্ন এছাক ব্রাদার্স লিমিটেডের ডিপোতে পাঠায়। কাস্টমসে জমা দেওয়া ইনভয়েসে পণ্যের ঘোষিত পরিমাণ দেখানো হয় সাড়ে তিন হাজার ডজন। চট্টগ্রামের তুবা এন্টারপ্রাইজ নামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি হয়ে চালানটি রপ্তানি করছিল। রপ্তানিকারক চালানটি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করে। ইনভয়েসে টি শার্ট, মেনজ বক্সার, লংপ্যান্ট ঘোষণা দেওয়া এসব পোষাকের ওজন দেখানো হয় ২৫ হাজার ৫৪৫ কেজি। পরে চালানটি জাহাজীকরণের আগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আটকে দেয় কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা।
গত ১০ মার্চ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবং ডিপোর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমস এআইআর। শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে, পণ্যের চালানে সাড়ে তিন হাজার ডজন অর্থাৎ ৪২ হাজার পিসের স্থলে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ পিস পোশাক পাওয়া যায়। রপ্তানি আদেশে চালানটির মূল্য ৫ হাজার ২৫০ ডলার দেখানো হলেও বাস্তবে এর মূল্য ২ লাখ ৮ হাজার ৫৩২ ডলার পেত রপ্তানিকারক।
সঠিক ঘোষণা থেকে ২ লাখ ৩ হাজার ২৮২ ডলার কম দেখিয়ে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে মনে করছে কাস্টমস। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার উপ-কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিয়া জানান, রপ্তানি ঘোষণা অনুযায়ী ইনভয়েসে ৪২ হাজার পিস তৈরিপোশাক ঘোষণা দিয়ে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ পিস রপ্তানির চেষ্টা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা চালানটি জাহাজীকরণের আগে আটক করে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করি। রপ্তানিকারক ৫ হাজার ২৫০ ডলার পণ্যের ঘোষণা দিলেও ২ লাখ ৮ হাজার ৫৩২ ডলারের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ঘোষণার অতিরিক্ত টাকা পাচারের চেষ্টা করছিল।
তিনি বলেন, রপ্তানিকারকের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।