চৌগাছায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের চৌগাছা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সাগরিকা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতার স্বামী ও পিতৃপক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। স্বামী পক্ষ বলছেন, দাম্পত্য কলহের জের ধরে সাগরিকা কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে পিতৃপক্ষের দাবি, যৌতুক দিতে না পারার কারণে মারপিট করার পর তাকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। মৃতা সাগরিকা খাতুন দৌলতপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন খোকনের স্ত্রী। শুক্রবার গভীর রাতে কীটনাশক পান করা অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাগরিকার মৃত্যু হয়। সাগরিকার নোনদ শামিমা জানিয়েছেন, রাত ৯টার দিকে ঘরে ঘুমাতে গেলে আলমগীর হোসেন খোকন ও সাগরিকার মধ্যে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তখন সাগরিকাকে ধাক্কা দিলে সে কীটনাশক পান করে। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাগরিকা মারা যায়।
অপরদিকে, সাগরিকার পিতা একই উপজেলার মাড়–য়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তার কন্যা সাগরিকা কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেনি। জামাই জাহাঙ্গীর হোসেন খোকন একজন চোরাচালানী। মাদক ব্যবসা করে। তাকে ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালকার ও ৭০ হাজার টাকা নগদ দেয়া হয়েছে। এরপর আরও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে জাহাঙ্গীর হোসেন। যৌতুক দিতে না পারায় সে সারিকাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে কয়েকবার বিচার সালিশ হয়েছে। সর্বশেষ ৪ মাস আগে সাগরিকাকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে পিতা-মাতার সাথে কোন যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি। এরপর বিষ খাওয়া বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাদীপক্ষ তাকে সংবাদ দেয়নি। মারা যাওয়ার পর রাত সাড়ে ৩টার সময় মোবাইল ফোনে সংবাদ দেয় সাগরিকা কীটনাশক পান করে মারা গেছে। শরিফুল ইসলাম বলেন, তার কন্যা (সাগরিকা) আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে গতকাল লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।