আগুন থেকে বাঁচা বই নষ্ট হলো পানিতে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ‘আগুন থেকে বইগুলো বাঁচানোর জন্য সেগুলো রাস্তায় রাখি। চেষ্টা করছিলাম আমি বাঁচি আমার বইগুলোও বাঁচুক। শেষপর্যন্ত বইগুলো পুড়েনি ঠিক, কিন্তু পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে সব।’ এভাবেই পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল বই হারিয়ে দুঃখ করছিলেন ফিরোজ আকন। নীলক্ষেত হযরত শাহজালাল মার্কেটের পাশে ফুটপাতে বিভিন্ন ইংলিশ কোর্স ও সাহিত্যের বই বিক্রি করতেন তিনি। অন্যান্য মঙ্গলবার এ মার্কেট বন্ধ থাকলেও গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিন হওয়ায় অনেকে বন্ধ রেখেছিলেন দোকান। তাই আজকে মোটামুটি খোলা ছিল এ মার্কেট। কিন্তু সন্ধ্যার পর লাগা আগুনে শেষ হয়ে যায় অনেকের স্বপ্ন।
ফিরোজ আকন বলেন, ‘এই দোকানটা আমার পরিবারের সম্বল ছিল। এটাই নষ্ট হয়ে গেছে। আমার পরিবারে এখন দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’ এর আগে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নীলক্ষেতের বাকুশা হকার্স মার্কেটের বইয়ের দোকানে আগুন লাগে। এসময় আগুন থেকে বইগুলো বাঁচাতে সেগুলো রাস্তায় রাখেন দোকানিরা। সন্ধ্যা ৭টা ৪৭ মিনিটে লাগা আগুন জ্বলতে থাকে রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত। ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পানিতে অনেকের বই নষ্ট হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, ছুটির মধ্যে বাকুশা হকার্স মার্কেটের দোতলায় কোনো একটি দোকানে বিদ্যুতের লাইন চালু রাখায় আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তিনি বলেন, মার্কেটের একতলায় যে দোকানগুলো ছিল তাতে আগুন সেভাবে ছড়ায়নি। মূলত আগুনের সূত্রপাত হয় মার্কেটটির দোতলা থেকে। ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি ছিল এবং আজ মঙ্গলবার নিউ মার্কেট এলাকায় সাপ্তাহিক ছুটি। এই ছুটির মধ্যে দোতলায় যাদের দোকান রয়েছে, তাদের মধ্যে কোনো একটি দোকানে বিদ্যুতের লাইন চালু রেখে দোকান বন্ধ করে চলে যায়। ফলে সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা। তবে এটি তদন্ত সাপেক্ষে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো। লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুনে বেশি ক্ষতি হয়েছে দোতালায়। সর্বোচ্চ ৩০-৩৫টি দোকান পুড়তে পারে। একতলার কোনো দোকান এখন পর্যন্ত সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।