ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণে যশোরে উৎসব আমেজ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের আগমনকে ঘিরে গতকাল সোমবার যশোরে সর্বত্রই ছিলো উৎসব আমেজ। দিনটিকে ঘিরে বসন্তের সাজে সেজেছিল সবাই। শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশতে বসে অস্থায়ী ফুলের দোকান। এসব দোকান থেকে ফুল কিনে প্রিয়জনকে ফাল্গুনের রঙে রাঙিয়ে ভালোবাসা দিবস পালন করেন নানা বয়সের মানুষ। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৫৮৫ সালে স¤্রাট আকবর বাংলা বর্ষপঞ্জি হিসেবে আকবরি সন বা ফসলি সনের প্রবর্তন করেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রবর্তন করেন প্রতি বছর ১৪টি উৎসবের পালনের রীতিও। যার মধ্যে অন্যতম ছিলো বসন্ত উৎসব। সেই থেকে পহেলা ফাল্গুনের এই দিনটিকে বসন্তবরণ দিবস হিসেবে বাঙালি সংস্কৃতিতে চলমান রয়েছে। তবে ফাগুনের রঙে রাঙিয়ে এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে অর্থ্যাৎ ভালোবাসা দিবস। এই দুই দিবসকে ঘিরে তাই গতকাল যশোরের সর্বত্র বয়ে উৎসব আমেজ। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবছর তেমন কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি না থাকলেও তরুণ-তরুণীরা ছাড়াও নানা বয়সের মানুষ বসন্তের সাজে সেজে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করেন।


হলুদ, কমলা, বাসন্তি, লালসহ বর্ণিল রঙে ও ঢঙে সেজেছিলেন মানুষজন। সকাল থেকেই শহরের পথ-ঘাট, রেস্টুরেন্ট, বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়ে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি। মাথায় ফুলের মুকুট আর বাহারি শাড়িতে ললনাদের রূপ-লাবণ্যে হারিয়েছে প্রেমিক হৃদয়। ফুল, উপহার সামগী ঘুরতে যাওয়া, হৃদয়ের কথা ব্যক্ত করার মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটান তারা।

তবে করোনার কারণে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এবছর কোনা অনুষ্ঠান ছিলো না। তাই উৎসব প্রিয় মানুষের ঢল নামে যশোর পৌরপার্ক, জেস গার্ডেন, বিমানবন্দরের রানওয়ের মোড়সহ গদলখালীর ফুলরাজ্যে পানিসারাসহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টগুলোতে। বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসে যশোর পৌর উদ্যানে স্বেচ্ছায় রক্তদানের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আহাদ রেডক্রিসেন্ট রক্তদান যশোরের উদ্যোগে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গনী খান পলাশ। এসময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অসহায় মানুষের সেবার লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। এ সময় যশোর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।