চিত্র নায়ক সোহেল হত্যা মামলার নথি গায়েব বিষয়ে হাইকোর্টে রিট

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চলচ্চিত্র অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ ও নথি গায়েবের বিষয়ে তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট করা হয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। রিটে মামলার নথি কেন পাওয়া যাচ্ছে না এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে। এর আগে গত ৩০শে জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়ার পক্ষে আইনজীবী আবু জোবায়ের হোসাইন সজীব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ ছয়জন বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। সাতদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ই ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০শে জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ২০০১ সালের ৩০শে অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯শে নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ই আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। সেই মামলার নথিও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।