খুবির দুই ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় আটক ১

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাদের প্রাইভেটকারে তুলে নেয়ারও হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই দুই ছাত্র হলেন- ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের আলহাজ্ব মোল্লা ও আইন ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের সুজন হোসেন।
জানা গেছে, ঘটনার শুরুতে আলহাজ্ব মোল্লার সঙ্গে একটি প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা এক লোকের তর্ক শুরু হয়। এরপর তর্ক থেকে হাতাহাতির পর্যায় চলে যায়। আলহাজ্ব নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে পরিচয় দিলে সেখানে উপস্থিত থাকা ১০-১২ জন তাকে মারধর শুরু করেন।
আরও জানা যায়, এরপরে ওই স্থান দিয়ে সুজন হোসেন যাচ্ছিলেন। এ সময় মারধরের ঘটনা দেখে এগিয়ে গিয়ে কথা বলতে চাইলে তাকেও মারধর করা হয়। সুজনকে মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করা হয়। এরপরে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই স্কুলের সামনের সড়ক সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে নগরীর গোল্লামারীর তিন রাস্তার মোড়েও প্রায় ৪ ঘণ্টা অবস্থান নেন তারা।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি এ সময় শিক্ষার্থীদের নিকট ঘটনার বিস্তারিত শুনেছেন। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনও একই প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে ছাত্রদের অবরোধ কর্মসূচিতে ইন্দ্রজিৎ নামে ডিবির এক সাব ইন্সপেক্টর হকিস্টিক দিয়ে ভয় দেখান বলে অভিযোগ উঠে। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ওই কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সোনাডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এই ঘটনায় জড়িত নয়ন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে ঘটনায় জড়িত অন্যদের চোরের প্রক্রিয়া চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ হাসান লিমন বলেন, আজকে ছাত্রদের সঙ্গে যেটা হয়েছে সেটি খুবই দুঃখজনক। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই আমরা আবারও বসব। ওই এলাকার মানুষদের কথাও আমরা শুনতে চাই। আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে মামলার ব্যাপারটি নিশ্চিত করব।