যশোরে ষষ্ঠীতলায় ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতের ৮ দিন পর মামলা রেকর্ড করলো পুলিশ!

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়ায় ইমদাদুল হক পিকুল (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতের ৮ দিন পর পরিবারের দেয়া অভিযোগটি অবশেষে মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ। ইমদাদুল হক পিকুল ষষ্ঠীতলা বুনোপাড়া রোডের শহিদুল হক বাবুর ছেলে। তিনি বস্তার ব্যবসার করেন। আসামিরা হলেন, চাঁচড়া রায়পাড়ার রাজ্জাক হুজুরের বাড়ির পাশের বাসিন্দা দুই সহোদর সোহান (৩২) ও সাকিব হোসেন (২৫), চাঁচড়া রায়পাড়ার রতন হোসেন (৪২), সানি (৩২), ইমন হোসেন (২৪), মনিরুল ইসলাম (৩৫) ও চাঁচড়া রায়পাড়া সারগোডাউন এলাকার মাহিম হোসেন (২৬)।
ওই মামলার বাদী ইমদাদুল হক পিকুলের ভাই কামাল উদ্দিন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার ভাই পিকুল বস্তা ব্যবসায়ী। অপরদিকে আসামিরা মাদকব্যবসায়ী। পিকুলসহ এলাকার লোকজন তাদের ওই কর্মকা-ের বিরোধিতা করে আসছেন। এ কারণে আসামিদের সাথে পিকুলের শত্রুতার সৃষ্টি হয়। তারা তাকে খুন জখমের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে পিকুল বস্তা বিক্রির টাকা নিয়ে শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ষষ্ঠীতলা বুনোপাড়া রোডের জনৈক সান মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে আসামিরা তার ওপর চড়াও হন, তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তারা তাকে পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করলে পিকুল গুরুতর জখম হন। আসামিরা এ সময় তার কাছ থেকে বস্তা বিক্রির নগদ ৭৬ হাজার টাকা ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড কেড়ে নেন। পিকুলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে লোকজন পিকুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাপসাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে খুলনায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পিকুলকে জখম করার ঘটনায় ওই সময় তার ভাই কামাল উদ্দিন কোতয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি খোঁজখবরের নামে মামলা রেকর্ডে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশের এহেন ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হওয়ায় গত বুধবার রাতে অভিযোগটি কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। তবে পুলিশ এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি।