২০২২ সালে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন সেরা দশ ধনকুবের, ব্যতিক্রম শুধু ওয়ারেন বাফেট

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২০২২ সাল শুরু হতে না হতেই সম্পদ কমতে শুরু করেছে বিশ্বের সবথেকে বড় ১০ ধনকুবেরের। যদিও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছেন ওয়ারেন বাফেট, যার সম্পদ উলটো বেড়েছে। সিএনবিসির এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূলত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর স্টকের দাম কমতে থাকায় বিশ্বের সবথেকে ধনীদের এই বেহাল অবস্থা। এ বছর টেসলার সিইও এলন মাস্কের সম্পদই কমেছে ৫৪ বিলিয়ন ডলার! অপরদিকে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস হারিয়েছেন ২৭.৮ বিলিয়ন ডলার এবং গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন হারিয়েছেন ১২ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ এর জানুয়ারি পার না হতেই ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের সম্পদও কমেছে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বিশ্বের সবথেকে ধনী ১০ ব্যাক্তির মধ্যে শুধু ওয়ারেন বাফেটের সম্পদই কমেনি। উল্টো তিনি গত এক মাসে ২.৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১১১ বিলিয়ন ডলার।
ফলে তিনি জাকারবার্গকে ছাড়িয়ে অতিধনীর তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এসেছেন। ২০১৮ সালে জাকারবার্গ বাফেটকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৪ বছর পর আবারও উঠে আসলেন বাফেট। এ নিয়ে ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ডয়ান ইভেস সিএনবিসিকে বলেন, দশকের পর দশক ধরে নিজের প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন বাফেট। এ কারণেই শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে ইতিহাসের বইতে স্থান পাবেন তিনি। তার কোম্পানি মানসম্মত বিনিয়োগে বিশ্বাস করে।
এ ধরনের বিনিয়োগকারীরা এমনসব স্টক নিয়ে কাজ করেন যা তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হয়। অন্য সিইওরা যেখানে শুধু প্রযুক্তি খাতেই বিনিয়োগ করে চলেছেন সেখানে বাফেটের বিনিয়োগ করার ক্ষেত্র বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। বাফেট নিজেও অন্যদের সূচক তহবিল বা ইনডেক্স ফান্ডগুলোতে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এখানে বিনিয়োগ করলে সেই বিনিয়োগ বৈচিত্রপূর্ন হয়ে ওঠে। যেমন এসএন্ডপি ৫০০ এমন একটি স্টক মার্কেট ইনডেক্স যাতে অ্যাপল, কোকা-কোলা ও গুগলের মত বড় কোম্পানিগুলো রয়েছে।
এদিকে বড় অংকের সম্পদ হারালেও ২১৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক এলন মাস্ক এখনো বিশ্বের সবথেকে বড় ধনী। তার সম্পদের পরিমাণ বাফেটের দুইগুন। ধারণা করা হয়, বাফেট হয়তো খুব বেশিদিন প্রথম ১০ ধনীর তালিকায় থাকতে পারবেন না। কারণ তিনি অনেক আগে থেকেই তার সম্পদ দাতব্য সংস্থাগুলোতে দান করে চলেছেন এবং তিনি আজীবন তার সম্পদ মানবতার সেবায় দান করে যেতে চান।