মহাপরিচালক নেই মাউশিতে, অনিশ্চয়তায় শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মহাপরিচালক ছাড়াই চলছে সারাদেশের সাধারণ সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গত ১০ জানুয়ারি থেকে এ প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ শূন্য থাকায় আগামী মাসের এমপিওভুক্ত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর সময়মতো বেতন-ভাতা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
মাউশি থেকে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি থেকে মহাপরিচালক অবসরে গেলে নিয়ম অনুযায়ী তার জায়গায় বর্তমান পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বা আর্থিক সংশ্লিষ্ট ফাইল অনুমোদনের ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়নি। এ ক্ষমতা দিতে গত ১৬ জানুয়ারি মাউশি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, সাবেক মহাপরিচালক অবসরে যাওয়ার পর বর্তমানে কলেজ ও প্রশাসন পরিচালককে রুটিন দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া হয়। কিন্তু মাউশির রুটিন মহাপরিচালকের প্রাতিষ্ঠানিক, আনুষঙ্গিক, বেতন-ভাতা ও এমপিও সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষরদানের ক্ষমতা না থাকায় সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বর্তমানে রুটিন দায়িত্বে থাকা শাহেদুল খবিরকে এ ক্ষমতা দিতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নিয়ম অনুযায়ী এমপিওভুক্ত ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য প্রতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে এ সংক্রান্ত সভা করা হয়। এরপর প্রতি মাসের ১ বা ২ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন-ভাতার চেক ব্যাংকে পাঠানো সম্ভব হলেও এবার তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জানতে চাইলে মাউশির উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র শাহা বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে এ ক্ষমতা না দেওয়ায় আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ করা বা এসময়ের মধ্যে রুটিন দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালককে ক্ষমতা দিলেও আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার চেক পাঠানো সম্ভব হবে। তারা নির্ধারিত সময়ে তা উত্তোলন করতে পারবেন। নতুবা বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। তবে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ছাড়ে তেমন সময়ক্ষেপণ হবে না মন্তব্য করে রুটিন দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি অবগত আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগামী মাসের বেতন-ভাতা ছাড় দেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।