বেনাপোল বন্দরে ১০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে

0

বেনাপোল(যশোর) সংবাদদাতা॥ করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বেনাপোল বন্দর ও চেকপোস্টে সতর্কতামূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। নতুন ধরনের এই করোনায় ভারতে শনাক্তের হার অনেক বেশি হচ্ছে এমন খবর থাকলেও এর বিস্তার রোধে বেনাপোল বন্দরে নেওয়া হয়নি বাড়তি কোনো ব্যবস্থা। এমন অভিযোগ করেছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা ও ভারতীয় ট্রাক চালক। বন্দর এলাকায় ট্রাক চালাক ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষারও কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে বন্দর ব্যবহারকারী ১০ হাজার মানুষ রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। অবশ্য বন্দর কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে রাজি হননি। তাদের মতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার থার্মার স্ক্যানার থাকলেও সেটি মনিটরিং করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের। বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভার ও খালাসির মুখে মাস্ক নেই । আমদানীকৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক রেখে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বন্দরের ভেতর ও বাইরে।
সরজমিনে গতকাল বুধবার দুপুরে বন্দর অভ্যন্তরে এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় । ভারতীয় ট্রাক ড্র্রাইভার দেবনাথ দাস যার ট্রাক নং ৪৮৭৩ ও বিশ^জিত দাস যার ট্রাক নং ৮৫১২ জানান, তাদের কাছে কোনো মাস্ক নেই, বন্দর থেকে তাদেরকে মাস্ক দেওয়া হয়নি। জিরো পয়েন্ট দিয়ে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে যেসব ট্রাক ভারত থেকে বন্দরে প্রবেশ করছে সেসব ট্রাকে জীবানু নাশক স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে না। মেডিকেল টিমের কোনো সদস্যকেও জিরো পয়েন্টে দেখা যায়নি। সিএন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন জানান, ওমিক্রন মোকাবেলায় বন্দরে যতটা নিরাপত্তা ও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন ছিলো তা এখনো চোখে পড়েনি। তিনি জানান, এই অরক্ষিত অবস্থার কারণে বন্দর ব্যবহারকারী ১০ হাজার মানুষ যেমন ঝুঁকিতে রয়েছে তেমনি সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এ ব্যপারে বেনাপোল স্থল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর আব্দুল জলিল জানান, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা আছে। ট্রাক চালক ও হেলপারদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিন্ত তারা মানছেন না। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে এখন থেকে শুধু ট্রাকের চালক ভারতীয় ট্রাক নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করবে, কোনো খালাসিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ জানান, ভারত থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রবেশের আগে মাস্ক ব্যবহার ও সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকায় একটি মেডিকেল টিম কাজ করছে সার্বক্ষণিক। প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচেছ। যাদের দেহে তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যাচ্ছে তাদের র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।