ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচন: সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে রিটার্নিং অফিসার বরাবর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ইমরান হাসানের আবেদন ##কিছু প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সংকট

0

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ আগামী ১৬ জানুয়ারি ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এবং ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৮ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রসমূহ ঝুকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী (কম্পিউটার প্রতীক) ইমরান হাসান নিপুন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইমরান হাসান নিপুন জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তার নির্বাচনী কর্মীদের নামে নাশকতামূলক মিথ্যা মামলা, প্রচার মাইক ভাঙচুর, মেমোরিকার্ড ছিনিয়ে নেওয়াসহ কর্মীদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তিনি সন্ধিহান রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঝিকরগাছা উপজেলা শহরকে ১৯৯৮ সালের ৪ এপ্রিল ৩য় শ্রেণির পৌরসভা হিসাবে ঘোষণা হয়। তার প্রায় ৩ বছর পর ২০০১ সালের ৪ এপ্রিল পৌরসভার ১ম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বর্তমানে ২১ বছর পার হলেও ২য় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া পৌরসভার আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে সেই থেকে মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল মেয়র হিসেবে রয়েছেন। তিনি আবারো আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন। এছাড়া শেষ মুহূর্তে ৬ মেয়র প্রার্থী, ৬১ কাউন্সিল প্রার্থী ও ১৮ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিজেদের যোগ্যতা ও উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছে প্রার্থীরা।
এদিকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে কিছু কিছু প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন পর ভোট হওয়ায় এবারকার পৌর নির্বাচনে ৬ জন মেয়র প্রার্থীসহ ৯ ওয়ার্ডে ৬১ জন কাউন্সিলর ও ১৮ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে এক হাজার ৭ শ ৫৯ জন পোলিং এজেন্ট প্রয়োজন। জানা গেছে, আসন্ন ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ৮৬ টি ভোট কক্ষ রয়েছে। ফলে ৬ জন মেয়র প্রার্থীর ৫১৬ জন পোলিং এজেন্ট প্রয়োজন। এছাড়া ১ নাম্বার ওয়ার্ডে ১৪টি ভোট কক্ষে ১০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর ১৪০ জন, ২নং ওয়ার্ডে ৭টি ভোট কক্ষে ৯জন কাউন্সিলর প্রার্থীর ৬৩ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ১২টি ভোট কক্ষে ১০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর ১২০ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ১০টি ভোট কক্ষে ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর ৫০জন, ৫নং ওয়ার্ডে ১৪টি ভোট কক্ষে ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর ৭০জন, ৬নং ওয়ার্ডে ১৩টি ভোট কক্ষে ৬ জন প্রার্থীর ৭৮জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৭টি ভোট কক্ষে ৪ জন প্রার্থীর ২৮জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৭টি ভোট কক্ষে ২৮জন ও ৯নং ওয়ার্ডে ১০টি ভোট কক্ষে ১০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর ১০০ জন পোলিং এজেন্ট প্রয়োজন। এছাড়া সংরক্ষিত ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে ৩৩টি ভোট কক্ষে ৮জন প্রার্থীর ২৬৮ জন, সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে ৩৭টি ভোট কক্ষে ৮জন প্রার্থীর ২২২ জন ও সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ২৪টি ভোট কক্ষে ৪ জন প্রার্থীর ৯৬জন পুলিং এজেন্ট প্রয়োজন। ফলে সব মিলে এক হাজার ৭ শ ৫৯ জন পোলিং এজেন্ট লাগবে বলে জানা গেছে।