চৌগাছায় ভৈরব পাড়ের মাটি চুরির বিরুদ্ধে ইউএনওর নির্দেশে মামলা

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় ভৈরব নদ পাড়ের মাটি চোরদের বিরুদ্ধে এবার চৌগাছা থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার নির্দেশে উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌগাছা থানায় এই মামলা করেন। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫-১ ধারায়নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মামলায় জগদীশপুর ইউনিয়নের ঝিনাইকুন্ড গ্রামের মনিকুল ইসলাম (৪০) সহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে ভৈরব নদের মাটি কাটা বন্ধ করতে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইরুফা সুলতানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় আমার উপস্থিতিতে আমার কর্ম এলাকা উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের ঝিনাইকুন্ডু মৌজার ভৈরব নদের উত্তর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার সময় বর্ণিত আসামিরা একটি মোটরসাইকেল ও একটি মাটি/বালু বহনকারী ট্রাক্টর ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চৌগাছা থানার এস আই সৈয়দ আশিকুর রহমান ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল ও মাটি/বালু বহনকারী ট্রাক্টর জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।

দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার পাতিবিলা ও জগদীশপুর ইউনয়িনে ভৈরবপাড়ের মাটি একটি মাটি চোরচক্র কেটে নিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করছিলো। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। পুলিশ কয়েকবার মাটিবহনকারী ট্রাক ও ট্রাক্টর আটক করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত জেল-জরিমানা আদায় করা হলেও মাটি চোরেরা থামেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানাও একাধিকবার এই চক্রটিকে সতর্ক করেন। যশোরের জেরা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান চৌগাছায় এক মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) সংশ্লিদের নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, আমি যোগদানের পর থেকেই ভৈরব নদ, বেড়গোবিন্দপুর বাওড়সহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি চুরি ও বালু উত্তোলনের অভিযোগ আসছে। এরআগে এমন কয়েকজনকে নিষেধ করা হলেও তারা বন্ধ করেনি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে তারা মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫-১ ধারায় এ বিষয়ে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।