তৈমূর আলমের শোডাউন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার শেষ সময়ে নগরীতে বিশাল শোডাউন করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। বুধবার সকাল ৯টায় বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জমায়েত হয় শহরের খানপুর হাসপাতাল রোডে। তাদের হাতে ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতি মার্কার প্রতীক শোভা পাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় একটি প্রাইভেট কারযোগে আসেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক এস এম আকরাম। একে একে যোগ দেন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতারা।
বুধবার বেলা ১১টায় তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল বের হয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে কর্মী-সমর্থকরা নেচে গেয়ে হাতি মার্কার স্লোগান দেন। মিছিলের মাঝামাঝি একটি খোলা জিপে তৈমূর আলম খন্দকার দুই হাত উপরে তুলে তার জন্য দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেন নগরবাসীর কাছে। এসময় মিছিলের অগ্রভাগে একটি ভ্যানগাড়িতে বড় একটি কৃত্রিম হাতি নগরবাসীর দৃষ্টি কাড়ে।
কয়েক হাজার নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রাস্তার দুই পাশে শত শত মানুষের ভিড় জমে যায় মিছিলটি দেখার জন্য। এসময় তৈমূর আলম হাত নেড়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে তৈমূরের শোডাউনে ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি বেশি নজর কাড়ে নগরবাসীর। স্লোগানটি ছিল, ‘১৬ তারিখ খেলা হবে, নৌকা ডুবে হাতি যাব্থে’। মিছিলটি যাবার পথে উচ্ছ্বসিত হকার, শ্রমিকরা নিজ উদ্যোগে নেচে গেয়ে পথে নেমে যান তৈমূরের সঙ্গে।
মিছিল শুরু হওয়ার আগে উপস্থিত নেতাকর্মী ও নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তৈমূর আলম বলেন, পুলিশ নৌকার পক্ষের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি, তাদের বাড়িতেও যায়নি। অথচ আমার সিদ্ধিরগঞ্জের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আমার লোকজনের বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাচ্ছে। এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তারপরও যদি বলা হয় আমার লোকজনকে হয়রানি করা হচ্ছে না সেটা আপনারাই বিবেচনা করে দেখবেন। তিনি বলেন, যারা নারায়ণগঞ্জের সচেতন জনগণ, যারা শহরকে নিয়ে ভাবেন, এই ১৮ বছরের ক্ষোভ থেকে যারা অবসান চান তারা সবাই আন্তরিকভাবেই এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি আশা করবো নির্বাচন কমিশন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে কাজ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেবে। নির্বাচনে যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে। জনগণ যেন ভোট দিতে পারে এবং কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং যেন না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।
তৈমূর আলম বলেন, জনগণ দলমতনির্বিশেষে আমার প্রচারণায় অংশ নিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন আমাদের নেতাকর্মীদের ধড়পাকড় করছে। তারা এরই মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। অনেকে বাড়ি থেকে পলাতক অবস্থায় আছেন। পলাতক থেকেই তারা আমার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি তিন সেট করে পোলিং এজেন্ট ঠিক করে রেখেছি। একজনকে বের করে দেয়া হলে আরেকজন কাজ করবে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র রক্ষার জন্য আলাদা কমিটি করা হয়েছে। তারা সেখানে কেন্দ্র রক্ষা করবে। আমাদের চিফ এজেন্ট এটিএম কামাল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। কেন্দ্র যেন দখল না হয় সেজন্য জনগণ পাহারায় থাকবে।