যশোরে একদিনেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ গুণ

0

বিএম আসাদ ॥ যশোরে একদিনে করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। আগেরদিন শনাক্ত হয় ১১ জন। গতকাল শনাক্ত হয়েছে ৩০ জন। শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৯১। যশোর সিভিল সার্জন অফিসের কোভিড-৯৫ দৈনিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় যশোরে ৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার থেকে ৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় ২ জন। ১শ’ ৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধ্যান মেলে। বাকি ৩টি নমুনা জিন এক্সপার্ট করা হলেও করোনার সন্ধান মেলেনি।
সূত্র জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু শূন্য দিন নিয়ে নতুন বছরের সূচনা হয়। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম ১২ দিনে ৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ২১ হাজার ৯শ’ ৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের ভেতর ৫শ’ ১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থতা লাভ করেছেন ২১ হাজার ৩শ’ ৬২ জন। হাসপাতালে ৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১শ’ ৫ জন রয়েছেন আইসোলেশনে।
পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত যশোরের অভয়নগর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২শ’ ১১ জন। সুস্থতা লাভ করেছেন ২ হাজার ১শ’ ৮৮ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২২ জন। বাঘারপাড়া উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪শ’ ৭২ জন। সুস্থতা লাভ করেন ৪শ’ ৪৬ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। চৌগাছা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯শ’ ৭৯ জন। সুস্থতা লাভ করেছেন ৯শ’ ৪৭ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩২ জন। যশোর সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৩শ’ ৬ জন। সুস্থতা লাভ করেছেন ১৩ হাজার ১শ’ ৪১ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন এ উপজেলায় ৩শ’ ১৭ জন। ঝিকরগাছা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬শ’ ৬২ জন। সুস্থতা ফিরে পেয়েছেন ১ হাজার ৬শ’ ২৪ জন। মারা গেছে ৩৮ জন। কেশবপুর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭শ’ ৯৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭শ’ ৬৮ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৭ জন। মনিরামপুর উপজেলায় ২৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এ উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮শ’ ৩১ জন। সুস্থতা ফিরে পেয়েছেন ৮শ’ ২ জন। শার্শা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪শ’ ৮৫ জন। আক্রান্তদের ভেতর সুস্থতা লাভ করেছেন ১ হাজার ৪শ’ ৪৬ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ জন। যশোর শহরসহ সদর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় লোকজনের বসবাস বেশি ও মানুষের মেলামেশা বেশি হওয়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
অপরদিকে, অভয়নগর উপজলোর নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল হওয়ায় লোকজনের সংস্পর্শ বেশি থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।