তৃতীয় ধাপে বাড়ছে প্রাথমিকের ‘স্কুল ফিডিং’ প্রকল্পের মেয়াদ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘স্কুল ফিডিং’ প্রকল্পের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ায় তৃতীয় ধাপে মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (ডিপিই) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের অধীনে ২০১০ সাল থেকে দেশের দারিদ্র্যপীড়িত ১০৪টি উপজেলায় প্রতিদিন ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে ৭৫ গ্রামের এক প্যাকেট বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে। বিস্কুট থেকে একজন শিক্ষার্থী প্রতিদিন ৩৩৮ কিলো ক্যালরি শক্তি পায়। প্রকল্পটি প্রথম দফায় ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়। পরবর্তীতে প্রকল্প সংশোধন করে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ১৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৫৯৭ কোটি ৭০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ৫৪৫ কোটি ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। বর্তমানে এ প্রকল্পের ৪৬৯ কোটি টাকা অব্যয়িত রয়েছে। গত ছয় মাসের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০১ কোটি টাকা। বর্তমানে তৃতীয় ধাপে আরও ছয় মাস মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। ডিপিইতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী এবং প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশনা অনুযায়ী বিস্কুটসহ শুকনা খাবার দিয়ে স্কুল ফিডিং প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। সে জন্য বর্তমান প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া আরও ছয় মাস বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব (পরিকল্পনা) মো. আশরাফুজ্জামান সোমবার বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর স্কুল ফিডিং প্রকল্পের বাড়তি সময় শেষ হয়েছে। বর্তমানে এ প্রকল্পের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নতুন করে প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা অনুমোদন করতে বেশ কিছু সময় প্রয়োজন রয়েছে বলে তৃতীয় ধাপে আরও ছয় মাস সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব তৈরি করতে ডিপিইতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই প্রস্তাব আসলে তা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন করে একনেকে পাঠানো হবে। এদিকে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের পরিবর্তে মিড ডে মিল প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে নিয়মিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খিঁচুড়ি খাওয়ানোর প্রস্তাব করা হয়। তবে খিঁচুড়ি রান্না শিখতে ও তা পরিবেশন করতে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দেশ সফরের জন্য বিপুল পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ দিতে প্রস্তাব করা হয়। সেটি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বির্তকের মধে পড়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পরে প্রধানমন্ত্রী সেই প্রকল্পের প্রস্তাবনা বাতিল করে নতুন প্রস্তাব দিতে নির্দেশনা দেন। এর আগে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালিয়ে রাখতে তিন দফায় সময় বাড়ালেও এখনো প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য আরও এক বছর সময় লেগে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।