১০৯ বছরের বৃদ্ধা জেবুন্নেছার ভোটটি দিল কে ?

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ শৈলকুপা উপজেলার কৃপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০৯ বছরের বৃদ্ধা জেবুন্নেছা ভোট দিতে এসে দেখেন তার ভোট হয়ে গেছে। এদিন তিনি বেলা ১১টার দিকে ভ্যানে শুয়ে এসেছিলেন ভোট দিতে তিনি। কিন্তু ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে হলো তাকে। বৃদ্ধার পোতা ছেলে নাইমুল ইসলাম নয়ন বুথে গিয়ে জানতে পারেন আগেই কে তার ভোট দিয়ে দিয়েছে। নয়ন জানান, আমার দাদি হাটতে পারলেও আমরা তাকে ভোট দিতে নিয়ে এসেছিলাম। ভোট নষ্ট করে তো লাভ নেই বলে। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে বুথে গিয়ে জানতে পারি ভোট আগেই হয়ে গেছে। আমার দাদির ভোটটি দিল কে ? প্রশ্ন তোলেন নয়ন। বিষয়টি প্রিজাইডিং অফিসারকে জাননো হয়েছিল কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কৃপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রাকিবুল ইসলাম বৃদ্ধার ভোট হয়ে যাওয়া নিয়ে বলেন, আমি তো কাউকে চিনি না। প্রতিটা বুথে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট রয়েছে। তারা না চিনতে পারলে আমার কি করার আছে বলেন। এদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলাা ২০ ইউনিয়নে আতংক ছাপিয়ে অনেকটা উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন শেষ হয়। বুধবার জেলার শৈলকুপার ১২ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা ৮ ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের শেষ সময় ৪টা বাজার এক ঘন্টা আগেই অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোট গ্রহন শেষ হয়ে যায়। কিছু কিছু কেন্দ্রে তারও আগে ভোট সম্পন্ন হয়। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্র্ঘ লাইন চোখে পড়ে। শৈলকুপায় ১১২ ও হরিণাকুন্ডুতে ৮২ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়। এসব কেন্দ্রের ৮০ ভাগ ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত করে প্রশাসন। কিন্তু কোথাও কোন অপ্রীতির ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠ ভাট গ্রহনের জন্য ৬ প্লাটুন বিজিব, ১৫৭৪ জন পুলিশ এবং ৩২৯৪ আনসার মোতায়েন করা হয়। শৈলকুপার আবাইপুর রামসুন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় আলো স্বল্পতার কারনে মোমবাতি জ¦ালিয়ে ভোট নেওয়া হচ্ছে। শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের দীর্ঘলাইন চোখে পড়ে। বাইরের পরিবেশ শান্তিপুর্ন থাকলেও মেম্বর প্রার্থীদের কারণে জাল ভোটের অভিযোগ ওঠে। হরিণাকুন্ডু উপজেলার আড়–য়াকান্দি গ্রামের মৃত মঙ্গল বিশ্বাসের শতবর্ষী স্ত্রী জবেদা খাতুন ভোট দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। জোড়াদহ ইউনিয়নের গবিন্দপুর ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দিতে গিয়ে আব্দুল্ল্হ নামে এক যুবক আটক হয়। ওই কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্দদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।