নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজিতে মেতেছে সারাদেশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে ঘড়ির কাঁটা ১২টা অতিক্রমের সাথে সাথে ঢাকা নগরীতে আতশবাজিতে মেতেছে তরুণরা। নববর্ষকে বরণের মধ্য দিয়ে কালের গর্ভে হারিয়ে গেলো আরও একটি বছর। বিদায় ইংরেজি ২০২১। স্বাগত ২০২২। এদিকে নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনার মধ্যে স্বাস্থ্য সতর্কতার অংশ হিসেবে এবার উদযাপনে কিছুটা কমতি থাকলেও উৎসব আনন্দে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে শুরু করেছে সারাদেশ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সার্বিক নিরাপত্তার কারণে থার্টি ফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়া বেশকিছু এলাকায় বহিরাগতদের চলাচলে থাকবে নিষেধাজ্ঞা। সেসব এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশিসহ নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। ডিএমপি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং ৮টার পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। তবে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। এসব এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে। ওই সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না তাদের এসব এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকদের ৩১ ডিসেস্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি। হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনো সমাবেশ/অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোনো যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবে না।