মহেশপুরে কলেজের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

0

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা॥ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজে একাডেমিক ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কলেজের বহুতল ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। অদক্ষ মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করায় ইতিমধ্যে ভবনের তিনতলার সামনের অংশের প্রতিটি পিলার খসে খসে পড়ছে। ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজে অনিয়ম চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ করায় যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার ঘটতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের বাস্তবায়নে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণে বরাদ্দ রয়েছে ৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ মাসুম কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই ভবন নির্মাণের কাজ পায়। গত দেড় বছর ধরে এই ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে কাজের প্রায় ৭৫ শতাংশ হয়েছে।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ভবনের প্রথমতলার ছাদ ঢালাই দেওয়ার পর রড ভেসে রয়েছে। ভবনের সামনের অংশের তিনতলার প্রতিটি পিলারের বড় ধরনের ধস দেখা দিয়েছে। ছাদের ঢালাই পাঁচ ইঞ্চি দেওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে তিন ইঞ্চি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া রডের কাভারিং কম থাকায় ঢালাই এক পাশে কম এবং অন্যপাশে বেশি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলীদের তদারকি না থাকায় এসব অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয়রা জানান, শিডিউলে উন্নতমানের ইট, পাথর, রড ও সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ইট, পাথর ও রড এবং পরিমাণে সিমেন্ট কম দিয়ে বেশি পরিমাণে বালি ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কাজের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ রফি উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বারবার বলেও কোন কাজ হচ্ছে না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের খেয়াল খুশিমত কাজ করে যাচ্ছে। ফলে যে কোন সময় নির্মাণাধীন ভবনটি ধসে পড়তে পারে।  অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদারকিকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, সামান্য যে সমস্যা হয়েছে, সেগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ শিক্ষা ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, এটা বড় কোন সমস্যা না।