বটিয়াঘাটায় দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি ও পুলিশের তাণ্ডব বন্ধের দাবি বিএনপির

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা ॥ খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ব্যর্থ, অযোগ্য, অথর্ব ও দলকানা নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি কোন ধরনের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এ কারণে কোন প্রহসনের নির্বাচনে শাসক দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার মিশন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিএনপির কোন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর জলমা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রহসন ও শাসক দলীয় তান্ডবের এই নির্বাচনে বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কিন্ত ইতিমধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রশাসনের সবগুলো শাখা সর্বোচ্চ তৎপরতা শুরু করেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে খুলনা থানা পুলিশ বটিয়াঘাটায় গিয়ে থানা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার ফারুক হোসেন সহ ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। বুধবার রাতে পুনরায় অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন আরও ৬ জন। তারা হলেন-পান্না মিয়া, কামরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, সবুজ, শুকুর ও সামাদ। পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে ১২ জনের নামে নৌকা মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করেছেন। এ মামলার এজাহারভুক্ত সকল আসামিই বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে আছাবুর রহমান, বাহাদুর মুন্সি, বাবুল শেখ, অহিদুল ইসলাম বাদল, আজমল হোসেন লিটন, শাতিল হোসাইন বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, ইতিপূর্বে খুলনা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে দলীয় নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি না করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সে আহবানে যে সংশ্লিষ্টরা কর্ণপাত করেনি তার প্রমাণ পুনরায় ধড়পাকড় ও মিথ্যা মামলা গ্রহণ করে হয়রানি অব্যাহত রাখা। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রশাসনকে মনে রাখতে হবে এই সরকারই শেষ সরকার নয়। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে রাতের ভোটে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা গেলেও এই মসনদ চিরস্থায়ী হবে না। আর সে সময় আজকের প্রতিটি অন্যায়ের জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন-খুলনা মহানগর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগরের সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, নগর সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির ও জেলার সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু।