পাইকগাছায় ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে আ.লীগের মধ্যে সমালোচনার ঝড়

0

পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ খুলনার পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনার পর সৃষ্ট দুটি গ্রুপ বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামীলীগের দু-একজন নেতা কর্মীরা চুপ থাকলেও অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে।
গত ২০ ডিসেম্বর উপজেলা ৩ জন নেতার নাম দিয়ে উক্ত কমিটির বিরুদ্ধে উদ্বেগ জানিয়ে কয়েকটি আঞ্চলিক সংবাদ পত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে। যাদের নাম উল্লেখ করা হয় তারা হলেন, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সহ-সভাপতি সমীরণ সাধু ও যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস। সংবাদে উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সমীরণ সাধুর কোন মতামত না নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পাইকগাছায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। গত ৯ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরিতে পাইকগাছা উপজেলার ১৬ ও পৌরসভার ২১ জন নাম দিয়ে আংশিক কমিটি প্রকাশ করেন। উক্ত কমিটি বাতিলে দাবীতে বঞ্চিত একটি গ্রুপ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে। হামলা চালায় নতুন কমিটির লোকদের উপর। আহত হয় ৪ জন, ভাংচুর করে কয়েকটি মটর সাইকেল। এ ব্যাপারে নব-নির্বাচিত উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী বলেন, জেলা নেতৃবৃন্দ বহিরাগতদের বাদ দিয়ে প্রকৃত ত্যাগী কর্মীদের মুল্যায়ন করেছেন। বঞ্চিত গ্রুপের রায়হান পারভেজ রনি বলেন, প্রকৃত ছাত্রদের নাম বাদ দিয়ে অছাত্র ও মাদকসেবীদের দিয়ে কমিটি ঘোষনা করায় তা বাতিলে দাবী করে প্রতিবাদ সভা সমাবেশ করে যাচ্ছি। উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সমীরণ সাধু বলেন, দলের ব্যাপারে আমার কথা স্পষ্ট শেখ পরিবার ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিবেন তার বাইরে আমি না। গত ২০ ডিসেম্বর কে বা কারা আমাকে না জানিয়ে আমার নাম ব্যবহার করে নব-গঠিত ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ দিয়েছেন আমি তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছি। ২০ উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু বলেন, ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে কোন বিএনপি বা জামায়াতের লোক নেই। প্রকৃত ছাত্র ও আওয়ামীলীগের ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি গঠন হওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন কমিটিকে আমরা অভিনন্দিত করেছি। যারা বিশৃংলা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।