১২ লাখ মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল আমদানির উদ্যোগ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে ২০২২ সালে ১৬ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। এতে ব্যয় হবে ৭ হাজার ৪৬৭ কোটি ৬ লাখ টাকা।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) দুটি গ্রেডের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (মারবান ও এরাবিয়ান লাইট ক্রুড অয়েল—এএলসি) পরিশোধন করা হয়। বিপিসি ২০২২ সালে আবুধাবির এডিএনওসি থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন এবং সৌদি আরবের এআরএএমসিও থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন এএলসি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।
এএলসি সরবরাহের বিষয়ে ১৯৯৪ সালে সৌদি আরামকো ও বিপিসির মধ্যে চুক্তি হয়। ওই চুক্তির আওতায় সৌদি কোম্পানি থেকে এরাবিয়ান লাইট ক্রুড আমদানি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএনওসি) ও বিপিসির চুক্তি প্রতি পঞ্জিকাবর্ষে নবায়ন করা হয়। ২০২১ সালের স্বাক্ষরিত চুক্তির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। ২০২২ সালের জন্য আবুধাবির কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে বিপিসি সম্মতি দিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী আবুধাবি থেকে সরকার নির্ধারিত দামে এবং সৌদি আরবের কোম্পানি থেকে ‘প্লাটস ক্রুড অয়েল মার্কেটওয়্যার আন্ডার দ্য হেডিং কী বেঞ্চমার্ক’ অনুযায়ী তেল কেনা হয়ে থাকে।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামও বাড়ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর সময় পর্যন্ত আমদানি করা ক্রুড অয়েলের গড় এফওবি, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি, লাইটারেজ খরচ এবং জাহাজ ভাড়ার ওপর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ ২০২২ সালের জন্য আমদানিতব্য ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি এএলসি ৭২.৬৯ মার্কিন ডলার এবং মারবান ৭২.০১ মার্কিন ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছে।
সৌদি আরব থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুনে ৪ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৮৩৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বরে ৩ লাখ মেট্রিক টন কেনার জন্য ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৭৬ কোটি ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৭ লাখ মেট্রিক টন এএলসি আমদানি করতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২১০ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, আবুধাবি থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন মারবান আমদানি করা হবে। এর মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুনে ৪ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে ১ হাজার ৮৯১ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বরে আমদানি করা হবে ৫ লাখ মেট্রিক টন। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৩৬৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইআইটিএফসি) ঋণ, বিপিসির বাজেট বরাদ্দ এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে বিপিসি সূত্রে জানা গেছে।