স্বামীসহ তিন জন গেস্খফতার: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেল রেহানা আত্মহত্যা নয় খুন হয়েছেন

0

নড়াইল সংবাদদাতা ॥ নড়াইলে গৃহবধূ রেহানা বেগমের আত্মহত্যার ঘটনা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে-নড়াইলের নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের টোনা গ্রামে। ময়নাতদন্তের সূত্র ধরে প্রায় পাঁচ মাস পর আত্মহত্যার ঘটনাটি হত্যায় রূপ নিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ রেহানার ভাই আল আমিন মীর গত বুধবার পাঁচজনের নামে নড়াগাতী থানায় মামলা দায়ের করেন। রেহানা বেগম খুলনার দিঘলিয়া থানার সোনাকুড় গ্রামের হেমায়েত মীরের মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১ জুলাই গৃহবধূ রেহানা বেগম আত্মহত্যা করেন মর্মে নড়াগাতী থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। বিষয়টি রেহানার বাবার বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় রেহানার ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রায় পাঁচ মাস পর ৭ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে রেহানাকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১০ মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। এরপর নিহত রেহানার স্বামী নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে নড়াগাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা মামলা দায়ের করেন ভাই আল আমিন। আসামিরা হলেন, রেহানার স্বামী টোনা গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৯), নজরুলের ভাই নাইমুল ইসলাম (৩৫), অপর ভাই নূর আলম (৩২) ও বোন নূরজাহান (৩৮) এবং নাইমুলের স্ত্রী তহমিনা খাতুন। মামলা বাদী আল আমিন মীর জানান, ২০১৮ সালের ১ আগস্ট টোনা গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে নজরুল ইসলামের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। এরপর যৌতুকের দাবিতে রেহানাকে প্রায়ই মারধর করত তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার দিন গত ১ জুলাই সকালে রেহানা তার ভাইকে মোবাইল ফোনে নির্যাতনের কথা জানান। তবে রেহানার স্বামী তার ভাইকে (আল আমিন) বলেন, রেহানা আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ রোকসানা খাতুন জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নিহত রেহানার ভাই পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি গৃহবধূর স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।