যশোরের তালবাড়িয়া কলেজের সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি লুটপাটের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি কামাল হোসেন হীরার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের কারণে ইতিমধ্যে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিয়া হায়দার পদত্যাগ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে কামাল হোসেন হীরার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা জানা যায়। কামাল হোসেন ২০১৮ সালের শেষের দিকে কলেজের সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর কোন প্রকার কমিটি গঠন ও টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই কলেজের ৮টি মূল্যবান গাছ বিক্রি করেন। যার একেকটির মূল্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে গ্রন্থাগারের শূন্য পদে একজনকে নিয়োগ দিয়ে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন কয়েক লাখ টাকা। পরে একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক ও অফিস সহায়ক পদে দুইজনকে মোট তিনজনকে নিয়োগের জন্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা চুক্তি করেন। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশের পর দু’দকের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক অবসরে যাওয়ার পর তিনি তাদের নিয়োগ দেন। সাম্প্রতি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্যে তিনি প্রার্থীদের দরকষাকষি করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে যিনি তাকে বেশি টাকা দিতে পারবেন তাকেই নিয়োগ দেবেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে কলেজের শিক্ষকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিয়া হায়দার পদত্যাগ করেছেন। সুযোগে তিনি ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক্ষ মোঃ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে তড়িঘড়ি করে অধ্যক্ষ নিয়োগের ভাইভা কার্ড বিতরণ করছেন। যাতে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের কাজ নির্বিঘেœ করতে পারেন। কলেজের পদত্যাগকারী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিয়া হায়দার বলেছেন, আমি কোন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির সাথে থাকতে চাই না। যে কারণে পদত্যাগ করেছি। আমিনুল হক কলেজের অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় যে গাছ বিক্রি করেন তার কোন টাকাই কলেজের ফান্ডে জমা দেননি। তাছাড়া বিভিন্ন সময় নিয়োগ বাণিজ্যতো করেই যাচ্ছেন। এই অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আমি পদত্যাগ করেছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি কামাল হোসেন হীরা বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ আমি ঝড়ে ভেঙে যাওয়া গাছ বিক্রি করে কলেজের কাজে লাগিয়েছে। এছাড়া ওই কাঠ দিয়ে কলেজের আসবাবপত্র বানিয়েছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর কলেজের অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।