বাংলাদেশের হতাশার দিন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দ্বিতীয় দিনটা হতাশার কাটল বাংলাদেশের। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাট হাতে পাকিস্তান করেছে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান। তার আগে ব্যাট হাতে দাপট দেখানো বাংলাদেশ গুটিয়ে যা ৩৩০ রানে। তারপরও চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তান পিছিয়ে আছে ১৮৫ রানে। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৫৩ রান। ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস ও মুশফিকুর রহীম। দুজনই হতাশ করেন এদিন। সেঞ্চুরি বঞ্চিত মুশফিক। আগের দিন ১১৩ রানে অপরাজিত থাকা লিটন এদিন যোগ করতে পারেন মাত্র ১ রান। বাকি ছয় উইকেটে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ৭৭ রান। ৬৮ বলে মেহেদী মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৩৮ রান। তার ব্যাটেই বলতে গেলে তিনশ রান অতিক্রম করতে পারে স্বাগতিকরা।
দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নামেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লিটন ও মুশফিক। দলীয় ২৫৫ রানে বিদায় নেন লিটন। হয়ে যানা হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ। এদিন করতে পারেন মাত্র এক রান। ২৩৩ বলে ১১৪ রানের ইনিংসে লিটনের বাউন্ডারি ১১টি, ছক্কা একটি। লিটন আউট হলেও ৮২ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক এগুচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। তিনি নার্ভাস নাইনটিজের শিকার। ৯১ রানে তিনি আউট হন ফাহিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। টেস্ট ক্যারিয়ারে মুশফিকের এটি চতুর্থবারের মতো নার্ভাস নাইনটিজ। এর তিনটিই চট্টগ্রামের মাঠে। এরপর আর উল্লেখযোগ্য জুটি হয়নি বাংলাদেশের। তাইজুল ও মিরাজ যোগ করেন ২৮ রান। রাহির সাথে মিরাজের অবদান ২৬। অভিষেকে মাঠে নামা ইয়াসির আলী থিতু হতে চেয়েও পারেননি। ১৯ বলে ৪ রান করে তিনি হাসান আলীর বলে বোল্ড। তাইজুল ইসলাম করেন ২৮ বলে ১১ রান। ১৯ বলে ৮ রান করেন আবু জায়েদ রাহী। এবাদত হোসেন প্রথম বলেই বোল্ড হন হাসান আলীর বলে। বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন হাসান আলী। শাহিন ও ফাহিম দুটি, সাজিদ খান নেন একটি উইকেট। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে দিন পার করে পাকিস্তান। ৫৭ ওভারেও একটি উইকেট আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও আলো স্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই হয় খেলা শেষ। পাকিস্তানের হয়ে আবিদ আলী আছেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। ১৮০ বলে তিনি অপরাজিত ৯৩ রানে। ১৬২ বলে ৫২ রানে অপরাজিত আছেন আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক।