খেলার খবর

0

লিটনের প্রথম সেঞ্চুরি, মুশফিক ৮২চাটগার প্রথমদিন বাংলাদেশের
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ সাগরিকায় লিটন– মুশফিকের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ২৫৩ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করল টাইগাররা। এই টেস্ট দিয়েই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা। পাকিস্তানের বিপক্ষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে নামেন সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদির মুখোমুখি সাদমান। তার ওভারটি দেখেশুনে খেলেন এই ওপেনার। তবে প্রথম ওভারেই আউট হতে পারতেন তিনি। শাহিনের প্রথম ওভারে সাদমানের ব্যাটের কানায় লেগে তালুবন্দী করেন উইকেটকিপার রিজওয়ান। কিন্তু কেউ আবেদন না করায় প্রথম ওভারেই বেঁচে যান সাদমান। দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলীকে চার মেরে বাংলাদেশের রানের খাতা খোলেন সাইফ। দুই ওপেনার মিলে ভালো শুরুর আভাসই দিচ্ছিলেন। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির করা বাউন্সার সামলাতে গিয়ে আবিদ আলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাইফ হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ১৪ রান। দলীয় ৩৩ রানে হাসান আলীর বলে এলবিডাব্লিউ হলেন সাদমান ইসলাম। পাকিস্তানের আবেদনে আউটের সিদ্ধান্তে দিলে রিভিউ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার। কিন্তু উইকেট বাঁচাতে পারেননি। ২৮ বলে ১৪ রান করেন সাদমান। তিনটি চার ছিল তার ইনিংসে। ৩৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মুমিনুল হকে ভালো কিছুর আশায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হাল ধরতে পারলেন না তিনি। পাকিস্তানের রিভিওতে সাজঘরে ফিরতে হল টাইগার অধিনায়ককে। ১৯ বলে মাত্র ৬ রান করেছেন অধিনায়ক। মুমিনুল হক আউট হওয়ার ৬ বল পর বিদায় নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফাহিম আশরাফের বলে সাজিদ খানের ক্যাচ হন এই ব্যাটসম্যান। ৩৭ বলে ২ চারে করেন ১৪ রান।
প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে সকালের সেশনটা ভালো কাটাতে পারেনি মুমিনুলের দল। মাত্র ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়ে চাপ কাটিয়েছেন মুশফিক–লিটন। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন। এরপরই নিজের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। টেস্টে মিস্টার ডিপেন্ডবলের এটি ২৪তম হাফসেঞ্চুরি। ফিফটি ছোঁয়ার পর শাহিন আফ্রিদির বলে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে একবার জীবন পান লিটন। এরপর ফের ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটান তিনি। মুশফিকের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ১৫০-এর বেশি, যা চট্টগ্রামের মাটিতে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। পরে এই জুটিতে ২০০-এর বেশি রান আসে। দারুণ ইনিংস খেলার পথে মুশফিক বাংলাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ টেস্ট রানের মালিক বনে গেছেন। এতদিন ৩৭ ম্যাচের ৭০ ইনিংসে ২৬২০ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিলেন তামিম ইকবাল। মুশফিক তাকে ছাড়িয়ে গেলেন ৪৪ ম্যাচের ৭৮তম ইনিংসে। ২৫৪৫ রান নিয়ে তালিকার তিনে আছেন সাকিব আল হাসান। মুশফিক-লিটনে দ্বিতীয় সেশনটাও স্বস্তিতে পার করেছে বাংলাদেশ। ৬৯ রানের জুটি গড়ে মধাহ্নভোজ থেকে ফিরে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের দাপুটে ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশনে কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানি বোলারদের শাসন করে দ্বিতীয় সেশন থেকে লিটন-মুশফিক তুলেন ১০২ রান। দুজনের ১২২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।
চা বিরতির পর ৬২ রানে লিটন ও ৫৫ রানে মাঠে নামেন মুশফিক। এখান থেকে শেষ সেশনে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পূর্ণ করেন লিটন কুমার দাস। বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা তাকে ঘিরে ধরেছিল চারপাশে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা ব্যর্থতায় দল থেকে বাদও পড়েছেন। কিন্তু টেস্টে নিজের চেনা ছন্দেই আছেন লিটন দাস। দলের বিপদের মূহুর্তে নেমে মুশফিকের সঙ্গে বড় জুটি গড়ে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১৯৯ বল মোকাবেলায় ১০টি চার ও এক ছক্কায় এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। আলোক স্বল্পতায় ৮৫ ওভারেই প্রথম দিনের খেলা শেষ হলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক ও লিটন। ২২৫ বলে ১১৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন এবং মুশফিক (৮২*) সেঞ্চুরির প্রত্যাশায় দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামবেন। এই ম্যাচে বাংলাদেশের ৯৮তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হলো উদীয়মান তারকা ক্রিকেটার ইয়াসির আলি রাব্বির। এছাড়া পাকিস্তান দলেও টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক।
বাংলাদেশ দল:
সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন।
পাকিস্তান দল:
আব্দুল্লাহ শফিক, আবিদ আলী, আজহার আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), ফাহিম আশরাফ, নওমান আলী, হাসান আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদি, সাজিদ খান।

তামিমকে পেছনে ফেলে শীর্ষে মুশফিক
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরোটা সময় ব্যর্থ ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। বাদ পড়েন পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। ফরম্যাট বদলাতেই জ্বলে উঠলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।শুক্রবার চট্টগ্রাম টেস্টে তামিমের একটি রেকর্ড ভেঙেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নামার পর দুই রেকর্ড ভাঙার হাতছানি ছিল তার সামনে। ঘরের মাঠে এবং টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান ছিল তামিমের। শুক্রবার ঘরের মাঠে তামিমকে ছাড়ালেও টেস্টের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি নিজের করে নিতে কাল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে মুশফিককে। শনিবার সকালে ১০ রান করলেই টেস্ট ক্রিকেটে তিনি শীর্ষ রানের সিংহাসনে বসবেন। ঘরের মাঠে তামিমকে ছাড়িয়ে যেতে মুশফিকের প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করতে প্রয়োজন ৯২। সেঞ্চুরির পথে থাকা মুশফিক ঘরের মাঠের রেকর্ডটি সহজেই ভেঙে ফেলেছেন। তবে চট্টগ্রামের উইকেটে শুরুতে সংগ্রাম করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। শুরুর ঘণ্টায় টিকে থাকতে পারলেও এই উইকেটে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া কোনও ঘটনাই নয়। শুরুর চার ব্যাটসম্যান যেটি পারেননি, পরে সেটি করে দেখিয়েছেন মুশফিক। ৫৬ বলে ৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন। লাঞ্চ থেকে ফিরেই পাকিস্তানি বোলারদের একের পর এক হতাশা উপহার দিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। আর তাতেই ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে মুশফিক ছাড়িয়ে যান তামিমের একটি কীর্তি। এখন ঘরের মাঠে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান মুশফিকের। সাজিদ খানকে মিডঅনে চার মেরে ঘরের মাঠে তামিমের করা ২ হাজার ৬২০ রান টপকে গেছেন। মুশফিকের বর্তমান রান ৪ হাজার ৭৭৮ রান। এই রান করতে মুশফিক খেলেছেন ৭৬টি টেস্ট। শুক্রবার আলোর স্বল্পতার কারণে ৫ ওভার কম খেলা হয়েছে। দিন শেষ করার আগে মুশফিক ৮২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। ১৯০ বলে ১০ চারে তিনি ইনিংসটি সাজিয়েছেন। ৩৭ ম্যাচে ৭০ ইনিংসে ২ হাজার ৬২০ রান করা তামিমের অবস্থান এখন দুই নম্বরে। এ তালিকায় তিনে আছেন সাকিব। ঘরের মাঠে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৩৮ ম্যাচে ৬৮ ইনিংসে করেছেন ২ হাজার ৫৪৫ রান।

লিটন-মুশফিক বীরত্বে দুর্দান্ত বাংলাদেশ
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ মনে হচ্ছিল টি-টোয়েন্টি জুজুই মনে হয় ভর করেছে! টপ অর্ডারের ব্যর্থতার চিত্রে আরেকবার ক্রিকেটভক্তদের মনে শঙ্কার মেঘ। কিন্তু দিনের শেষে শঙ্কার সেই মেঘ কেটে উৎসবের আমেজ। ২৮ রান তুলতে যেখানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ, সেখানে ওই ৪ উইকেটেই স্কোর ২৫৩। আর এই যাত্রার ‘নায়ক’ লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লিটন তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। অন্যদিকে মুশফিকও হাঁটছেন শতকের পথে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে পথে ফেরান লিটন-মুশফিক। শুধু কী পথে ফেরানো, পাকিস্তানি বোলারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়ে চালকের আসনে বসিয়েছেন দলকে। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৫৩ রান। লিটন অপরাজিত ১১৩ রানে। মুশফিক দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন ৮২ রান নিয়ে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা অবিচ্ছিন্ন ২০৪ রানে। প্রথম সেশনেই যা ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ, দুই সেশন পার করে দিয়েছেন লিটন ও মুশফিক। তাদের সামনে সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তানের কোনও বোলার। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলী, ফাহিম আশরাজ ও সাজিদ খান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সময়টা ভালো না গেলেও টেস্টের পথচলা খারাপ ছিল না। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা তার আগে ঘরের মাঠের কুড়ি ওভারের সিরিজের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকেই হয়তো বেছে নিয়েছেন লিটন দাস। আর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু আর কী হতে পারে! চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। তাতে হয়তো সমালোচকদের কড়া ‘জবাব’ও দেওয়া হলো তার! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছেন লিটন। যে কারণে বাদ পড়েছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে। তবে ফরম্যাট বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেলো লিটনের ফর্মও। যদিও গত কয়েক টেস্ট ধরেই এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার তিনি। চলতি বছর উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি গড় তার। সেই ধারাবাহিকতায় চট্টলার মাটিতে দারুণ এক ইনিংসে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন। ১৯৯ বলে শতক পূরণ করেছেন তিনি। চাপ কাটিয়ে চালকের আসনে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাপুটে পারফরম্যান্সে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস বাড়িয়ে নিচ্ছেন রান। চমৎকার ব্যাটিংয়ে জুটির নতুন রেকর্ড গড়েছেন তারা। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি এখন মুশফিক-লিটনের। চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৪৪ রানের। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই মুশফিকই মেহরাব হোসেনের সঙ্গে গড়ছিলেন জুটিটা। আজ সেটি ভেঙে দিলেন লিটনকে সঙ্গী করে। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট সম্পূর্ণ আলাদা। তারপরও খেলোয়াড়টি মুশফিকুর রহিম বলেই আগ্রহটা ছিল বেশি। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের ব্যর্থতা ঝেড়ে তিনি নতুন করে সামনে আসতে পারেন কিনা, কৌতূহল থাকাটা স্বাভাবিক। দারুণ এক হাফসেঞ্চুরিতে সবকিছুরই জবাব দিয়ে দিলেন এই ব্যাটার। বলার অপেক্ষা রাখে না টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার মুশফিক। দলের প্রয়োজনের সময় আবারও নিজের সামর্থের প্রমাণ রাখলেন তিনি। দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ধুঁকছে, তখন লিটনকে সঙ্গী করে ইনিংস গড়ার কাজে লেগে পড়েন। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে চমৎকার সব শটে পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফসেঞ্চুরির দেখা। ১০৮ বলে ফিফটি পেয়েছেন তিনি।

জোড়া নার্ভাস নাইন্টির পর অবশেষে লিটনের সেঞ্চুরি
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ সেঞ্চুরি পেতে পারতেন আরও সাড়ে তিন বছর আগে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আউট হয়ে যান ৯৪ রানে। এমনকি গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ইনিংস থামে ৯৫ রানে। দুইবারই ক্যাচ আউট হন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। অবশেষে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অধরা সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসের ৭৮তম ওভারের তৃতীয় বলে দ্রুত এক রান নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটার। ক্যারিয়ারের ২৬তম টেস্টের ৪৩তম ইনিংসে তিন অঙ্কে পৌঁছতে তিনি খেলেছেন ১৯৯টি বল। যেখানে ছিল ১০ চার ও একটি ছয়ের মার। ব্যক্তিগত পঞ্চাশে পৌঁছতে তিনি খেলেছিলেন ৯৫ বল। সেখান থেকে পরের ৫০ করেছেন আরও ১০৪ বল খেলে। টেস্ট ক্রিকেটে তার নামের পাশে আগেই রয়েছে নয়টি হাফসেঞ্চুরি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৫ রান। লিটন খেলছেন ১০০ রানে। আরেক অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের সংগ্রহ ৭৭ রান। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ১৮৬ রান। যা কি না জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।

৩৪৫ রানে অলআউট ভারত, লড়ছে নিউজিল্যান্ডও
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ যেভাবে বড় স্কোরের দিকে এগুচ্ছিল ভারত, সেভাবে আসলে রানটা হয়নি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৪৫ রানে অলআউট হয়েছে আজিঙ্কা রাহানের দল। সেঞ্চুরি করেছেন অভিষিক্ত স্রেয়াশ আয়ার। টিম সাউদি আর কাইল জেমিসনই মূলতঃ আগুন ঝরিয়েছেন কানপুরের গ্রিনপার্কে। সাউদি নেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নেন কাইল জেমিসন। ২ উইকেট নেন স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল। প্রথম দিনই সেঞ্চুরির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। ৭৫ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন স্রেয়াশ আয়ার। তার সঙ্গে ৫০ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন রবিন্দ্র জাদেজা। দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে জাদেজা টিকে থাকতে পারেননি। সেই ৫০ রানেই আউট হয়ে যান। তবে স্রেয়াশ আয়ারকে থামানো যায়নি। তিনি ঠিকই আউট হয়েছেন তিন অংকের ঘরে প্রবেশ করে। অভিষেকেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের এই সাবেক অধিনায়ক। ১৭১ বল মোকাবেলা করে তিনি আউট হয়েছেন ১০৫ রান করে। নাম লিখে ফেললেন মোহাম্মদ আজহারুদ্দিন এবং সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে। এই দু’জনও অভিষেকে ভারতের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। স্রেয়াশ যখন আউট হন তখন ভারতের রান ৩০৫। তিনি আউট হন সপ্তম ব্যাটার হিসেবে। তার আগে আউট হয়ে যান রবিন্দ্র জাদেজা এবং ঋদ্ধিমান সাহাও। ঋদ্ধি করেছিলেন কেবল ১ রান। এরপর রবিচন্দ্র অশ্বিনই কেবল কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিলেন। তিনি করেন ৫৬ বলে ৩৮ রান। ১০ রানে অপরাজিত থেকে যান উমেষ যাদব। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভালোই জবাব দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার টম ল্যাথাম এবং উইল ইয়ং মিলে ওপেনিং জুটি ধরে রেখেছেন এখনও। এ রিপোর্ট লেখার সময় নিউজিল্যান্ডের রান কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬। ৫০ রানে উইল ইয়ং এবং ২৩ রানে ব্যাট করছেন টম ল্যাথাম।

একের পর এক বিতর্ক, এবার দেশের নামই ভুল লিখলো বিসিবি
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ দায়িত্বহীনতা কোন পর্যায়ে গেলে এভাবে একের পর এক ভুল আর বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। যার সর্বশেষ সংযোজন দেশের নামই ভুল লেখা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে গতকাল শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। সকালে টসের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে যে টিম লিস্ট সরবরাহ করা হয়েছে মিডিয়ার কাছে, সেখানেই মারাত্মক ভুলটি করে বসে বিসিবির কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের নামটাই ভুল লিখেছে তারা। টিম লিস্টে বাংলাদেশ হয়ে গেলো ‘বামগ্লাদেশ।’ বিসিবির টিম লিস্টে এমন ভুল নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। মিডিয়ার কাছে সরবরাহ করা লিস্টে দেখা যাচ্ছে, ইংরেজিতে ‘বাংলাদেশ’-এর (ইধহমষধফবংয) জায়গায় লেখা হয়েছে ‘বামগ্লাদেশ’ (ইধসমষধফবংয)। সেই টিম লিস্টে স্বাক্ষর ছিল অধিনায়ক মুমিনুল হকের। বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের পাশাপাশি একই লিস্ট সরবরাহ করা হয় পাকিস্তানি সংবাদকর্মীদের কাছেও। চলতি সিরিজে একের পর এক বিতর্কই জন্ম দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বোলারদের বলে ভূতুড়ে গতি টিভিতে দেখিয়েছে ব্রডকাস্টাররা। সেখানে দেখানো হয়, বোলারের বলের গতি নাকি ২১৯ কিলোমিটার। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিব আল হাসানের ঘাড়ে বসানো হয়েছে শহিদুল ইসলামের মাথা। সর্বশেষ টেস্ট সিরিজের জন্য ছাড়া টিকিটেও ভুল ছিল। সেখানে ম্যাচ শুরুর সময় দেয়া ছিল রাত ১০টা।

ফেডারেশন কাপ দিয়ে অত্যাধুনিকভাবে সাজাতে সংস্কার হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ আজ শনিবার বিকাল ৩টায ১৫টি দল নিয়ে হচ্ছে এবারের মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট। প্রিমিয়ার লিগের ১২ দলের সঙ্গে যোগ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। ২০১৮ সালের সবশেষ স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ‘ডি’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ পেয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে। ‘এ’ গ্রুপে আবাহনীর সঙ্গী রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি, স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। ‘বি’ গ্রুপের দলগুলো হচ্ছে- শেখ জামাল, শেখ রাসেল, উত্তর বারিধারা ক্লাব ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। মোহামেডান ‘সি’ গ্রুপে । প্রতিপক্ষ সাইফ স্পোর্টিং, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মোহামেডানের বাইরে এ গ্রুপ থেকে কেবল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র শিরোপাটি একবার জিতেছে; ২০০৫ সালে।
স্বাধীনতা কাপের গ্রুপিং
গ্রুপ এ: আবাহনী লিমিটেড, রহমতগঞ্জ, স্বাধীনতা সংঘ।
গ্রুপ বি: শেখ জামাল ধানমন্ডি, শেখ রাসেল, উত্তর বারিধারা, বিমানবাহিনী।
গ্রুপ সি: সাইফ স্পোর্টিং, মোহামেডান স্পোর্টিং, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গ্রুপ ডি: বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামিল-আরমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রাতঃভ্রমণকারীদের সংগঠন বৃক্ষমায়া ও বন্ধন তরুণ সংঘের উদ্যোগে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) জামিল-আরমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ টুর্নামেন্টে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মোট ছয়টি দল অংশগ্রহণ করছে। দলগুলো হলো- বায়ার্ন মিউনিখ, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানসিটি, বার্সেলোনা, পিএসজি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। উদ্বোধনী দিনে দুটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়। বায়ার্ন মিউনিখের শাহ আলম ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। এছাড়া ম্যানসিটি ও বার্সেলোনার মধ্যেকার খেলাটি গোলশূন্য ড্র হয়। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন ম্যানসিটির তরুন সাহা। বৃক্ষমায়া ও বন্ধন তরুণ সংঘ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবীণ ও নবীনদের সমন্বয়ে গঠিত দুটি নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণকারী দল। তাদের উদ্যোগে ভোরে শরীর চর্চার পাশাপাশি নিয়মিত ফুটবল খেলা হয়। গত বছর এ দুটি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য জামিল হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং আরমান মিয়া অসুস্থ হয়ে মারা যান। তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।